Showing posts with label পাচ মিশল. Show all posts
Showing posts with label পাচ মিশল. Show all posts

Sunday, 18 February 2024

মিরাক্কেল টমেটো চাষে কৃষকদের বেশি আগ্রহ দেখা গেছে ডুমুরিয়ায় ইউনাইটেড কোম্পানির

মিরাক্কেল টমেটো চাষে কৃষকদের বেশি আগ্রহ দেখা গেছে ডুমুরিয়ায় ইউনাইটেড কোম্পানির

মিরাক্কেল টমেটো চাষে কৃষকদের বেশি আগ্রহ দেখা গেছে ডুমুরিয়ায় ইউনাইটেড কোম্পানির 

শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।


ডুমুরিয়ায় ইউনাইটেড সীড  কোম্পানির মিরাক্কেল টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষের দিকে ঝুঁকেছেন কৃষকেরা। এর মধ্যে টমেটো চাষে কৃষকদের বেশি আগ্রহ দেখা গেছে। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পাচ্ছেন তাঁরা। 

ডুমুরিয়া উপজেলায় মোট ৪১০ হেক্টর জায়গায় টমেটো চাষ হয়। যার মধ্যে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হয় ৪০ হেক্টর জায়গায় এবং উৎপাদন এক হাজার টন ( হেক্টর প্রতি ফলন ২৫ টন)। যার মূল্য ১০ কোটি টাকা। আবার শীতকালীন টমেটো চাষ হয় ৩৭০ হে. জমিতে এবং ফলন গড়ে হেক্টর প্রতি ৩২ টন। রবি মৌসূমে টমেটোর মোট উৎপাদন ১১,৮৪০ টন। কেজি প্রতি টমেটোর বিক্রয় মূল্য ৩০ টাকা হিসাবে মোট ৩৫.৫২ কোটি টাকার টমেটো উৎপাদন হয় রবি মৌসূমে। অর্থাৎ ডুমুরিয়া উপজেলা থেকে বছরে ৪৫.৫২ কোটি টাকার টমেটো উৎপাদন হয়। 



সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের কুলটি গ্রামের কৃষক অসিত বিশ্বাস ১২ বিঘা জমির ঘেরের আইলে টমেটো চাষ করেন এবং গত ২ মাসে তিনি প্রায় পনের লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন এবং এখনও বিক্রি করছেন।কুলটি গ্রামের কৃষক অসিত বিশ্বাস বলেন, ‘আমি আমার মাছের ১২ বিঘার ঘেরের আইলে টমেটো চাষ করি। টমেটো উৎপাদন ও আবাদ এলাকা বাড়ানোর জন্য আগাম জাত চাষ সম্পর্কে  কৃষককে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষ করে তুলে কমিউনিটি এপ্রোচের মাধ্যমে এগোতে হবে; বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এসব জাত ও উৎপাদন কলাকৌশলের ওপর ব্যাপক প্রচারণা চালানো দরকার; বেশি বৃষ্টিপাতকে এড়িয়ে কম বৃষ্টিপাতের সময়ে পলিশেড ছাড়াই পলি-মালচিং প্রয়োগ করে চারা লাগালে খরচ সাশ্রয় হবে; উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে কৃষক দলভিত্তিক কার্যকর বিপণন চ্যানেল তৈরি করে টমেটো বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হবে বেশি দেশীয় উৎপাদন বাড়লে আমদানি সীমিত রাখা এবং লাগসই উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা কার্যক্রম চলমান রাখা দরকার।


জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষকের আয় বাড়াতে, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গ্রীষ্মকালীন ইউনাইটেড সীড কোম্পানির মিরাক্কেল টমেটো চাষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বারি গ্রীষ্মকালীন টমেটোর জাতের  চাষ বাড়ানো গেলে টমেটোর বছরব্যাপী দেশের চাহিদা পূরণ হবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমবে। সে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

উপজেলার কুলটি ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার শেখ আবু হুরায়রা বলেন, এবার  কুলটি ব্লকে ৩৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের টমেটো চাষ হয়েছে।  তবে বাহুবলী জাতের টমেটোর চাষ বেশি হয়েছে এবং এর ফলনও ভালো হয়েছে। সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতিতে টমেটোর আবাদ করছেন কৃষকেরা। ভবিষ্যতে টমেটো চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

 ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন ডুমুরিয়ার কৃষককে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষ করে তুলে কমিউনিটি এপ্রোচের মাধ্যমে এগোতে হবে, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এসব জাত ও উৎপাদন কলাকৌশলের ওপর ব্যাপক প্রচারণা চালানো দরকার, বেশি বৃষ্টিপাতকে এড়িয়ে কম বৃষ্টিপাতের সময়ে পলিশেড ছাড়াই পলি-মালচিং প্রয়োগ করে চারা লাগালে খরচ সাশ্রয় হবে।

উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে কৃষক দলভিত্তিক কার্যকর বিপণন চ্যানেল তৈরি করে টমেটো বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হবে বেশি, দেশীয় উৎপাদন বাড়লে আমদানি সীমিত রাখা এবং লাগসই উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা কার্যক্রম চলমান রাখা দরকার মনে করেন।

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষকের আয় বাড়াতে, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বারি গ্রীষ্মকালীন টমেটো জাতের চাষ বাড়ানো গেলে টমেটোর বছরব্যাপী দেশের চাহিদা পূরণ হবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমবে। সে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে গ্রীষ্মকালীন মিরাক্কেল টমেটো চাষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।


শেখ মাহতাব হোসেন।

 ডুমুরিয়া খুলনা।

 

Thursday, 15 February 2024

গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩ নড়াইলে

গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩ নড়াইলে

  গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩ নড়াইলে


উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:


নড়াইলে ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ

গ্রেফতার তিনজন। মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত মোঃ লালন শেখ (৩৮) ও কামরুল শেখ (২৮) নামের দুইজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মোঃ লালন শেখ (৩৮) নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বিনদারচর গ্রামের সাহেব আলী শেখের ছেলে এবং কামরুল শেখ (২৮) একই থানার চাঁদপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোঃ আহমেদ শেখের ছেলে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নড়াইল জেলার সদর থানাধীন পৌরসভাধীন ৯ নম্বর ওয়ার্ড হাটবাড়িয়া গ্রামস্থ অপু ভদ্রের দোকানের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ছাব্বিরুল আলম এর তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) মোঃ ফারুক হোসেন, এএসআই (নিঃ) আনিসুজ্জামান, এএসআই (নিঃ) মাহফুজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে মোঃ লালন শেখ (৩৮) ও কামরুল শেখ (২৮)কে গ্রেফতার করে। এ সময়  আসামীদের নিকট থেকে মাদকদ্রব্য পঞ্চান্ন পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এ সংক্রান্তে নড়াইল সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। 




আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

অপরদিকে 

নড়াইলে পাঁচশত গ্রাম গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করে। মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত মোঃ হাসিব মোল্যা (২৪) নামের একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মোঃ হাসিব মোল্যা (২৪) নড়াইল জেলার সদর থানাধীন মধুরগাতি গ্রামের মোঃ ইখলাস মোল্যর ছেলে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি)' নড়াইল জেলার সদর থানাধীন ৮ নম্বর কলোড়া সাকিনস্থ গোবরা মিত্র মহাবিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ছাব্বিরুল আলম এর তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) মোঃ ফারুক হোসেন, এএসআই (নিঃ) আনিসুজ্জামান, এএসআই (নিঃ) মাহফুজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে মোঃ হাসিব মোল্যা (২৪) কে গ্রেফতার করে। এ সময় ধৃত আসামীর নিকট থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য পাঁচশত গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়। এ সংক্রান্তে নড়াইল সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ছাব্বিরুল আলম এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে বলেন, নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার মোহাঃ মেহেদী হাসান নির্দেশনায় মাদকমুক্ত নড়াইল গড়ার লক্ষ্যে জেলা পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।


পত্নীতলায় রাজশাহী রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

পত্নীতলায় রাজশাহী রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

 পত্নীতলায় রাজশাহী রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ৫ পুলিশ কর্মকর্তা


শাকিল হোসেন পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ 

রাজশাহী রেন্জের শ্রেষ্ঠ সার্কেল পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মু. আব্দুল মমীন,শ্রেষ্ঠ  অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন, শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম রেজা,  শ্রেষ্ঠএসআই (নিরস্ত্র) জাফর আহমেদ ও এএসআই (নিরস্ত্র) আফজাল হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।


তারা এর আগেও একাধিকবার শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন এবং উত্তম কাজের পুরস্কারহিসাবে সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন।



মঙ্গলবার  (১৩ ফেব্রুয়ারী )  রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়  রাজশাহীর পদ্মা কনফারেন্স রুমে  রেন্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি)  মোঃ আনিসুর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) এর সভাপতিত্বে  মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায়  জানুয়ারি /২০২৪ মাসে  অপরাধ দমন, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার, তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটন , ওয়ারেন্ট তামিল, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, মামলা নিষ্পত্তি , নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কে সেবা প্রদানসহ সার্বিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় তাদের কে সম্মাননা  স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।


এসময় উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট), অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অপারেশনস্), রাজশাহী রেঞ্জ, বাংলাদেশ পুলিশ, রাজশাহী এবং রেঞ্জ নওগাঁ  অফিসসহ রেঞ্জাধীন সকল জেলা /ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমূখ


পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, কাজের স্বীকৃতি সম্মাননা আমাদের কাজে আরও আগ্রহ বাড়িয়ে দিবে। এই অর্জন পত্নীতলার মানুষের জন্য। পত্নীতলার সুধি সমাজ, জনপ্রতিনিধি,  সাংবাদিকবৃন্দ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ কে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। সকলের সহযোগিতায় পত্নীতলা কে মডেল থানায় রুপ দিতে চায়।

সাংবাদিক মাহমুদা আক্তার ইভা। সাংবাদিকতায় বিশেষ   অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা স্মারক পেলেন

সাংবাদিক মাহমুদা আক্তার ইভা। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা স্মারক পেলেন

 সাংবাদিক মাহমুদা আক্তার ইভা। সাংবাদিকতায় বিশেষ 

অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা স্মারক পেলেন


ফাতেমা আক্তার ইভা নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি 



জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অভিষেক অনুষ্ঠানের সভায় জাতী সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক মাহমুদা আক্তার ইভা।


এই সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন প্রবীণ সাংবাদিক ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ নুর ইসলাম, এবং মহাসচিব খন্দকার  মাসুদুর রহমান দিপু, জনাব আহমেদ ফিরোজ কবির (সংসদ সদস্য পাবনা-২) 


আজ (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় জমকালো আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডি-টোরিয়াম হল রুম মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে স্মারক প্রদান সহ কেক কাটা ও আলোচনা সভার মাধ্যমে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।


এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন আব্দুস শহীদ (মাননীয় কৃষিমন্ত্রী), উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহমেদ ফিরোজ কবির সংসদ সদস্য পাবনা-২,সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ নূর ইসলাম, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আলতাফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান হাজী রুহুল আমিন প্রদান, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মহাসচিব খন্দকার মো: মাসুদুর রহমান দিপু, যুগ্ন মহাসচিব ও লায়ন মো: সোবাহান হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রেজাউল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদ মো: সাজ্জাদ আহমেদ খোকন, যুগ্ম মহাসচিব হাসান আলী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান (সম্রাট)  জাতীয় সহ মহিলা সম্পাদিকা সাংবাদিক মাহমুদা ইভা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মো: শিহাব উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য মো: সোহাগ হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।


সম্মাননা স্মারক পেয়ে সাংবাদিক মাহমুদা আক্তার ইভা বলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর  অনুষ্ঠানে আমাকে সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা স্মারক প্রধান করেন। বিশেষ স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা স্মারক পেয়ে আমি ধন্য, এবং আল্লাহর প্রতি জানাই চির কৃতজ্ঞতা, এবং আমার পক্ষ থেকে সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।



বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মানিক লাল ঘোষ সহ-সভাপতি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও কার্যনির্বাহী সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। তিনি বলেন আজ আপনারা বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা থেকে সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়েছেন। আপনাদের আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন একজন সত্যিকার অর্থে সাংবাদিক হতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। গলা একটি পত্রিকার কার্ড পড়লেই সাংবাদিক হওয়া যায় না


কারণ সাংবাদিক হতে হলে অনেক কিছু বিধি আছে সেগুলো অনুসরণ করতে হয়।। আমি আশা করি আপনারা পারবেন কারণ আপনাদের মধ্যে আমি সেই উদ্যোগ দেখতে পেয়েছি।


যারা সাংবাদিক ভাইয়েরা আছেন অন্তত প্রতিদিন দুইটি পত্রিকা পড়বেন সেখানে কিভাবে লেখা হয়েছে যদি সেটা আপনারা ফলো করেন দেখবেন আপনাদের মধ্যে যেটুকু ভুল ত্রুটি আছে তার থাকবে না। তিনি আরো বলেন যারা ক্রাইম রিপোর্ট করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা খুব সতর্কতার সহিত নিউজ করবেন। কারণ যারা ক্রাইম রিপোর্ট করে তাদের যেমন জীবনের প্রতি হুমকি ও আমার অনেক সাংবাদিকদের দেখেছি ক্রাইম রিপোর্ট করতে গিয়ে জেল খাটতে হয়েছে।

Sunday, 24 July 2022

উদ্দীপ্ত" সমাজ কল্যাণ সংঘ ভজনপুর (একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন) এর যাত্রা শুরু

উদ্দীপ্ত" সমাজ কল্যাণ সংঘ ভজনপুর (একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন) এর যাত্রা শুরু

আলহামদুলিল্লাহ 

"উদ্দীপ্ত" সমাজ কল্যাণ সংঘ ভজনপুর (একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন) এর যাত্রা শুরু......

 একঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় “উদ্দীপ্ত” সমাজ কল্যাণ নামে (একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন) এর  আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে ।


"উদ্দীপ্ত" সমাজ কল্যাণ সংঘ ভজনপুর একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সামাজিক সংগঠন যার লক্ষ্য বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে কাজ করা। সংগঠনের সদস্যরা এরূপ একটি সংগঠনের সদস্য হতে খুবই আনন্দিত পাশাপাশি তারা স্বেচ্ছায় সেবার মাধ্যমে সমাজে বিদ্যমান বিভিন্ন অন্ধকারাচ্ছন্ন সামাজিক ব্যাধির মূলোৎপাটন করতে দৃঢ় প্রত্যয়ী ।

"উদ্দীপ্ত” সমাজ কল্যাণ সংঘ এমন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখে যেখানে শেষ হয়ে যাবেনা কোন যুবকের ভবিষ্যৎ মাদকের ভয়াল থাবায়, ঝরবে না কোনো দুঃখিনী মায়ের চোখের পানি, দেশ হারাবে না কোন মেধাবী তরুণকে। যেখানে থাকবেনা বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধি, ইভটিজিং, নারী ও শিশু নির্যাতন । 
দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ুক সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে। "উদ্দীপ্ত” এর আলোয় দূর হয়ে যাক অন্ধকারের ঘনঘটা ।

মানবতার সেবায় সর্বাঙ্গে-উদ্দীপ্ত রবে এগিয়ে..

আমাদেরকে যারা সব সময় সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন এবং সহযোগিতা করতেছেন তাদের সকলের প্রতি জানাই অবিরাম ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা 🥰😍🥰

"উদ্দীপ্ত" পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি...

Tuesday, 14 June 2022

কোন জেলায় কতটি রেল স্টেশন আছে জেনে নিন

কোন জেলায় কতটি রেল স্টেশন আছে জেনে নিন

আপনি জানেন কি

উত্তরবঙ্গের ১৬ টি জেলার নওগাঁ বাদে সবগুলো জেলা সদরে রয়েছে রেল স্টেশন।

সর্বমোট ১৭০ টি রেলওয়ে স্টেশনের আছে নাম সহ জেনে নিন

সবচেয়ে বেশী রেল স্টেশন আছে পাবনা জেলায়-

পঞ্চগড়  জেলায় ৩ টি রেল স্টেশন 

১) পঞ্চগড়
২) নয়নিবুরুজ
৩)কিসমত

ঠাকুরগাঁও জেলায় ৬ টি রেল স্টেশন 

৪) রুহিয়া
৫) আখানগর
৬) ঠাকুরগাঁও রোড
৭) শিবগঞ্জ
৮) ভোমরাদহ
৯) পীরগঞ্জ

দিনাজপুর জেলায় ১৯ টি রেল স্টেশন 

১০) সুলতানপুর স্কুল 
১১) সেতাবগঞ্জ
১২) মোল্লাপাড়া
১৩) মঙ্গলপুর
১৪) বাজনাহার
১৫) কাঞ্চন জংশন
১৬) বিরল
১৭) দিনাজপুর 
১৮) কাউগাও
১৯) চিরিরবন্দর
২০) মন্হথপুর
২১) পার্ব্বতীপুর জংশন
২২) বিলাইচন্ডি
২৩) খোলাহাটি
২৪) ভবানীপুুর
২৫) ফুলবাড়ি
২৬) বিরামপুর
২৭) ডাঙ্গাপাড়া
২৮) হিলি

নিলফামারী জেলার  ৯ টি রেল স্টেশন 

২৯) সৈয়দপুর
৩০) খয়রত নগর
৩১) দারোয়ানী
৩২) নীলফামারী কলেজ
৩৩)নীলফামারী 
৩৪) তরুনী বাড়ী
৩৫) ডোমার
৩৬) মির্জাগঞ্জ
৩৭)চিলাহাটি
 
রংপুর জেলার  ৯ টি রেল স্টেশন 

৩৮) বদরগঞ্জ
৩৯) আওলিয়াগঞ্জ
৪০) শ্যামপুর
৪১) রংপুর
৪২) মীরবাগ 
৪৩) কাউনিয়া জংসন
৪৪) অন্নদা নগর
৪৫) পীরগাছা 
৪৬) চৌধুরানী

লালমনিরহাট জেলার  ১৬ টি রেল স্টেশন 

৪৭) তিস্তা জংশন
৪৮) মহেন্দ্রনগর
৪৯) লালমনিরহাট 
৫০) রইসবাগ
৫১) আদিতমারী
৫২)নামুরিরহাট
৫৩)কাকিনা
৫৪) তুসভান্ডার
৫৫) ভোটমারী
৫৬) শহীদ বোরহানউদ্দিন
৫৭) হাতীবান্ধা 
৫৮) বড়খাতা
৫৯) বাউরা
৬০) আলাউদ্দিন নগর
৬১) পাটগ্রাম
৬২)বুড়িমারী
 
কুড়িগ্রাম  জেলার  ৮ টি রেল স্টেশন 

৬৩) সিঙ্গের ডাবরীর হাট
৬৪)রাজারহাট
৬৫) টগরাইহাট
৬৬) কুড়িগ্রাম 
৬৭) পাঁচ পীর
৬৮) উলিপুর
৬৯)বালাবাড়ী
৭০) রমনাবাজার
 
গাইবান্ধা জেলার ১১ টি রেল স্টেশন 

৭১) হাসানগঞ্জ
৭২) বামনডাঙ্গা
৭৩)নলডাঙ্গা
৭৪) কামারপাড়া
৭৫) কুপতলা
৭৬) গাইবান্ধা 
৭৭) ত্রিমোহনী জংশন
৭৮) বাদিয়াখালী রোড
৭৯) বোনারপাড়া জংশন
৮০)মহিমাগঞ্জ 
৮১)সালমারা হল্ট

 বগুড়া  জেলার  ১৬ টি রেল স্টেশন 

৮২)সোনাতলা
৮৩) ভেলুর পাড়া
৮৪) সৈয়দ আহম্মেদ কলেজ
৮৫) সুকান পুকুর
৮৬)গাবতলী
৮৭)বগুড়া
৮৮)কাহালু
৮৯) পাঁচ পীর মাজার
৯০) তালোড়
৯১) আলতাফনগর
৯২) নুৎরতপুর
৯৩)আদমদিঘী
৯৪) সান্তাহার
৯৫) সান্তাহার গুডস
৯৬) হেলালিয়ার হাট
৯৭) ছাতিয়ানগ্রাম
 
জয়পুরহাট  জেলার  ৭ টি রেল স্টেশন 

৯৮)বাগজানা
৯৯) পাঁচ বিবি
১০০) জয়পুরহাট
১০১) জামালগঞ্জ
১০২) আক্কেলপুর
১০৩)জাফরপুর
১০৪) তিলকপুর
 
নওগাঁ জেলার  ৪ টি রেল স্টেশন 

১০৫) রানী নগর
১০৬) সাহাগোলা
১০৭ আত্রাই
১০৮) আহসান গঞ্জ

 নাটোর জেলার  ১২ টি রেল স্টেশন 

১০৯) বীরকুটসা
১১০) মাধনগর
১১১) নলডাঙ্গার হাট
১১২) বাসুদেবপুর
১১৩) নাটোর
১১৪) ইয়াছিনপুর
১১৫) মালঞ্চি
১১৬) আব্দুলপুর জংশন
১১৭) লোকমান পুর
১১৮) আজিমনগর
১১৯) ঈশ্বরদী বাইপাস
১২০) মাঝগ্রাম

রাজশাহী জেলায় ১২ টি রেল স্টেশন 

১২১) আড়ানী
১২২) নন্দনগাছি
১২৩) সরদহ রোড
১২৪) বেলপুকুর
১২৫) হরিয়ান
১২৬) রাজশাহী বিঃ বিঃ
১২৭) রাজশাহী 
১২৮ রাজশাহী কোট
১২৯) সিতলাই
১৩০) চব্বিশ নগর
১৩১) কাকন হাট
১৩২) ললিত নগর

 চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৭ টি রেল স্টেশন 

১৩৩) আমনুরা বাইপাস
১৩৪) চাপাইনবাবগঞ্জ 
১৩৫) আমনুরা জংশন
১৩৬) নিজামপুর
১৩৭)নাচোল
১৩৮)গোলাবাড়ী
১৩৯) রহনপুর

পাবনা জেলায় ২১ টি রেল স্টেশন 

 ১৪০)পাকশী
১৪১) রূপপুর পারমাণবিক ( নব নির্মিত)
১৪২) ঈশ্বরদী জংশন 
১৪৩) মুলাডুলি
১৪৪) গফুরাবাদ
১৪৫) চাটমোহর
১৪৬) গুয়াখড়া
১৪৭) ভাঙ্গুড়া
১৪৮) বড়ালব্রীজ
১৪৯)শরৎ নগর
১৫০) দিলপাশার
১৫১) দাশুড়িয়া
১৫৩) টেবুনিয়া
১৫৪) পাবনা
১৫৫) রাঘবপুর
১৫৬) দুবলিয়া
১৫৭) তাতীবন্ধ
১৫৮) সাথিয়া রাজাপুর 
১৫৯) কাশিনাথপুর
১৬০) বাধেরহাট
১৬১) ঢালারচর

সিরাজগঞ্জ জেলায়  ৮ টি রেল স্টেশন 

১৬২) লাহড়ী মোহনপুর
১৬৩) উল্লাপাড়া
১৬৪) সলপ
১৬৫) জামতৈল
১৬৬)শহীদ মনসুর আলী
১৬৭) বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম
১৬৮) কালিয়া হরিপুর ( বন্ধ) 
১৬৯) সিরাজগঞ্জ  রায়পুর
১৭০) সিরাজগঞ্জ বাজার

এছাড়াও কিছু  স্টেশন  বন্ধ এবং বিলুপ্ত হয়ে গেছে

যেমন
চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার 
দিগ্রাম

 রাজশাহীর 
গোদাগাড়ী বাজার
গোদাগাড়ী ঘাট

গাইবান্ধা জেলার 
কঞ্চিপাড়া
বালাসীঘাট
ভরতখালী
ফুলছড়িঘাট
সাঘাটা
তিস্তামুখ ঘাট

সিরাজগঞ্জ জেলার
কালিয়া হরিপুর 
বাহির গোলা
সিরাজগঞ্জ ঘাট

পাবনা জেলার
সাড়াঘাট।


Sunday, 12 June 2022

আমি আমার স্ত্রী  কে সন্দেহ করি

আমি আমার স্ত্রী কে সন্দেহ করি

আমি আমার স্ত্রী নীলা কে সন্দেহ

করি। কিন্তু কোন প্রমাণ পাচ্ছি না। তাই বাসার সিসি ক্যামরা লাগিয়েছি। 
ব্যাপারটা শুনতে অদ্ভুত লাগছে। কিন্তু তাও আমাকে পরিবারের জন্য এইটা করতে হচ্ছে৷ 
নীলাদ্রীকে আমি ভালোবেসেই বিয়ে করেছি। তিন বছর প্রেম করে অনেক যুদ্ধ শেষে বিয়ে। কিন্তু আমি সংসারের জন্য দিনরাত কাজ করতে করতে আর  বড় ছেলেটা আর ছোটো মেয়েটা হওয়ার পর ভালোবাসা বলতে ফেসবুকে ছবি আপলোড করে ভালোবাসি বলাতেই আটকে রইলো।

নীলাকে এখন আমি চিনতে পারি না। কি খিটখিটে আর  ঝগড়াটে হয়েছে। কথায় কথায় খোটা দিয়ে কথা বলা সারাক্ষন রাগ যেন নাকের উপর৷ প্রায় দেখি সন্ধ্যা অবধি চুল ভেজা। জিজ্ঞেস করলে বলে কাজ করতে দেরীতে স্নান। কি এমন কাজ ঘরে? 

মা বাবা আর দুইটা বাচ্চা।  ভাব এমন যেন মায়েদের মতো পনেরো বিশ জনের কাজ করছে।  কোন কাজ ঠিক মতো করে না। একটা জিনিস পাওয়া যায় না। মাঝেমধ্যে শার্ট অবধি আয়রণ করা পাওয়া যায় না। রান্না কোন দিন ঝাল, তো কোন দিন লবণ নেই। 
সারাদিন অনলাইন দেখা যায়৷ জিজ্ঞেস করলে বলে একবার হয়ত ডুকি আর অফ করা হয় না। তাই আমার সন্দেহ লাগে। তাই কাল চুপি চুপি সারাঘরে ক্যামরা লাগিয়েছি৷ অফিস থেকে বসে দেখবো। 

আমি মনিটর অন করলাম। ফাইল গুলো নিয়ে চোখ বুলাচ্ছি। নীলা এখন রান্নাঘরে সকালে নাস্তার পরে থালাবাসন গুলো পরিস্কার করছে। ফাইল থেকে চোখ তুলতেই দেখি নীলা বেড়রুমে বিছানা গুছিয়ে রাখছে সব রুমের৷  অনিন্দ স্কুলে গিয়েছে। দুই বছরের মেয়ে টিয়া তখনো ঘুম। 

টিয়ার জন্য চুলায় খাবার বসিয়ে রুটি সবজি নিয়ে বসলো । আমরা তো অনেক আগে করেছি নীলা এখন নাস্তা করছ।  সাথে মোবাইল নিয়ে অনলাইন ঢুকল। আমি এইবার নড়েচড়ে বসলাম। এইবার বুঝি ধরা খেলো বাচাধন। 

রুটি কিছুটা মুখে দেওয়ার সাথে সাথে টিয়া উঠে গেলো৷ টিয়ার কাছে গিয়ে ওকে অনেকক্ষন আদর করে ঘুম থেকে তুলে নিলো। টিভির সামনে বসিয়ে দিলো একবার ওর খাবারটা খাচ্ছে আবার রান্না ঘরে টিয়ার খাবার টা রেডি করছে।  
টিয়াকে খাওয়াতে নিলো । টিভি দেখছে, দৌড়াচ্ছে। কত কিছু করছে। কিন্তু তখনো অনলাইন দেখাচ্ছে নীলাকে কিন্তু ও বাচ্চার পিছনে ছুটছে। 

আমি কাজ করছি আর মনিটরে চোখ বুলাচ্ছি। মেয়ের খাবার শেষ হলো এক ঘন্টায়। নীলা আমার কালকের শার্ট প্যান্ট ছেলের ড্রেস, মেয়ের অনেকগুলো ছোট ছোট ড্রেস সব তুলছে। বাথরুম নিয়ে সব সবান পানিতে রেখে আবার রান্না ঘরে।  ফ্রিজ থেকে মাছ মাংস নামিয়ে মাকে বলল তরকারী কেটে দিতে। ভাত আর টিয়ার জন্য খিচুড়ি তুলে দিয়ে একটা কাপড় নিয়ে ঘরে সব ফার্নিচার  পরিস্কার করছে। তখনো অনলাইন শো করছিল নীলাকে। মোবাইলে চোখ গেলে এসে ডাটা অফ করে৷ কাজ করছে আবার রান্না ঘরে গিয়ে রান্না দেখছে৷ 
চুলায় একদিকে তরকারী দিলো খুব দ্রুত আবার পেয়াজ কেটে চুলায় দিচ্ছে।  আবার মাংস কাটছে। 
তখন বাবা এসে বলল-
- চা দাও তো একটু কড়া করে। আর একটু নাস্তা দাও৷ 
নীলা চুলায় তরকারী নাড়ছে আবার বাবাকে খাবার দিচ্ছে। 
নীলা আবার ছুটছে টিয়া পিছনে ফ্রুটস খাওয়াচ্ছে। এরপর বাথরুমে গিয়ে কাপড় সব ধুয়ে শুকাতে দিলো। নীলা পুরো ভিজে গিয়েছে কিন্তু স্নান করে নি। এত দ্রুত কাজ করছে কেন? 
নীলা রান্না শেষ করে সব গুছিয়ে ফেলেছে। তখন মা এসে বলল -
-বেগুন ভর্তা করিও তো শুটকি দিয়ে। 
নীলা মায়ের দিকে তাকিয়ে রইল কিন্তু কোন কিছু বলল না। হঠাৎ আমার ব্যাপারটা চোখে লাগলো। নীলা রাগ ও দেখালো না। এইটা হয়ত প্রতিদিন চলতে চলতে নীলার রাগ হয়ত আগে করতে এখন থেতো হয়ে গেছে। অসহায় লাগছে। নীলা আবার মেয়ের খাবার নিয়ে ছুটছে। কি দুষ্টমি যখন খাচ্ছে না তখন একটা থাপ্পড় দিলো, তখন মা এসে নীলাকে উল্টা বকা দিয়ে টিয়াকে নিয়ে গেলো। খাবার রয়ে গেলো।
নীলা একটু চা খেতে নিলো তখন টিয়া আবার কান্না ওকে ঘুম পাড়িয়ে দিলো। 

 নীলা চুলায় বেগুন আর শুটকি দিয়ে ঘর ঝাড়ু দিচ্ছে। তখন অনিন্দকে স্কুল থেকে নিয়ে এলো বাবা। অনিন্দ এসে শুরু করলো দুষ্টমি। নীলা অনিন্দ আর টিয়াকে স্নান করাতে নিলো। যেন যুদ্ধ করছে। আবার এইদিকে রান্নাঘরে ভর্তার জন্য দেওয়া বেগুন প্রায় পুড়ে গেছে। 

নীলা ঘর মুছতে নিলো। রান্নাঘরে গিয়ে ভর্তা করছে আবার ঘর মুছতেছে। বাচ্চাগুলো টিভি দেখা নিয়ে মারামারি করছে। নীলার পরিস্কার করা ঘরে  আবার ময়লা করছে। নীলা ওদের বকাবকি করছে। বাসায় থাকলে আমি উল্টা নীলাকে বকা দিই ওদের কিছু বললে। অদ্ভুত ব্যাপার এখন আমার স্বাভাবিক লাগছে।নীলার জায়গায় আমি হলে আরো বেশি রাগ করতাম মনে হচ্ছে। নীলা ঘর মুছে, বাথরুম গুলো পরিস্কার করছে। তখন প্রায় দুইটা। 
বাবা ভাত চেয়ে যাচ্ছে। মা কিন্তু টিভি দেখছে তখন। নীলাকে ক্লান্ত লাগছে। নীলা এক গ্লাস পানি খেয়ে আবার রান্না ঘরে গিয়ে ভাত তরকারী সব এনে টেবিলে রাখলো। বাচ্চাদের জন্য খাবার নিচ্ছে। বাবা চিৎকার করছে,
- ভাত দিছো পানি কে দিবে? গলায় ভাত লাগিয়ে মারতে চাও নাকি? আগে পানি দিবে। 
নীলা আবার দৌড়ে এসে ফিল্টার থেকে পানি নিয়ে দিলো। এইটা তো বাবাও করতে পারতো। 
আমার আবার কেমন যেন লাগছে বুকে। আমি কি করি কখনো এই কাজ টা। 

নীলা টিয়াকে খাওয়াচ্ছে। অনিন্দকে বাবা মায়ের সাথে খেতে দিলেও ও খাচ্ছে না। নীলা টিয়াকে চেপে ধরে কোন মতে কার্টুন দেখিয়ে খাওয়াচ্ছে। আবার অনিন্দকে খাটের উপর থেকে ব্যালখনি থেকে ধরে এনে পিঠে একটা দিয়ে ভাত খাওয়াচ্ছে।

বাচ্চারা যখন খাচ্ছে না। নীলা অসহায় ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে। কারো দিকেই না। কিন্তু নীলা বিরক্ত ও না রাগেও না। কেমন যেন। 
  নীলা এখনো কিছু খায় নি। তাও বাচ্চাদের পিছনে ছুটছে। তখন মা বাবা নীলাকে আবার বকাবকি করছে। 
- মাছে ঝাল বেশি হয়েছে, ভাত আরেকটু ফোটাতে পারো না শক্ত থেকে যায়, বেগুন ভর্তায় তো লবণের ছিটেফোঁটা নাই।

-সারাদিন কোন কাজ নাই। টিভি দেখো মোবাইল চালাও আর দুইটা রান্না আরকি। খাওয়া সময়ও যদি ঠিক মতো খেতে না পারি কেমন লাগে? 

নীলাকে চরম বিরক্ত দেখাচ্ছে কিন্তু কিছু বলছে না। তখন ও বাচ্চাদের আরো জোরে জোরে থাপ্পড় দিয়ে ভাত খাওয়াচ্ছে। 

সবার খাওয়া শেষে নীলা সব থালা বাসন তুলে পরিস্কার করল।  বাচ্চাদের আরো কাপড় হয়েছে সেগুলো ধুয়ে শুকাতে দিলো। ব্যালখনির চারাগুলোর যত্ন করে নিজে স্নান করতে গেলো। ওমা নীলা দশ মিনিটে বের হয়ে গেলো। নীলা খেতে বসলো তখন প্রায় সাড়ে তিনটা।  নীলা আবার মোবাইল হাতে নিলো। কিছুক্ষন ফেসবুক চালিয়ে ওর মায়ের সাথে কথা বলছে। নীলা ভাত খাচ্ছে তখন বাবা এসে টিয়াকে দিয়ে গেলো বাবা ঘুমাবে। টিয়া বিরক্ত করছে তাও খেয়ে নিলো। 
নীলাকে এখন ভীষণ ক্লান্ত লাগছে কিন্তু রেস্ট নিতে পারছে না। টিয়া ঘুমাচ্ছে না। টিয়া ঘুমালো ৫ টার দিকে। 
অনিন্দ তখন কি যেন ভেঙে ফেলেছে। ওটা পরিস্কার করে আবার শুয়ে পড়ল। সাড়ে পাচ টায় বাবা আবার চা চাইছে। মা চিৎকার করছে,
-এতক্ষন কিসের ঘুম? ঘরের বউ এতক্ষন ঘুমালে  ঘর তো লক্ষীছাড়া হবে৷ 

নীলা উঠতে পারছে না। পা রাখতে পারছে না।  তাও উঠে আবার ঘর ঝাড়ু দিচ্ছে বাবাকে চা দিলো। সবার জন্য নুডুস বানিয়ে আমার জন্য কিছুটা রেখে দিলো। অনিন্দকে পড়াতে বসেছে আর বার বার বাইরের দিকে দেখছে। হয়ত আমার অপেক্ষায়। 
তখন আমার বুকটা আবার থম দিয়ে উঠল। অফিস থেকে বের হওয়ার আগে দেখলাম শার্ট আয়রন করছে।  তারপর শুয়ে আছে। কোমর ধরেছে। 

বাসায় ফিরে এলাম। আজ নীলার সাথে চোখ মেলাতে পারছি না।  কিন্তু এইটা নীলা  দশ বছর ধরে করে আসছে। কত দিন হিসাব করলে আমি নীলার সামনে দাঁড়াতেই পারব না।
পরের দিন ও সেইম রুটিন নীলার।  কোন দিন আরো বেশি। মাঝে মাঝে টিয়াকে কোলে নিয়ে কাজ করে। কারো সাথে মোবাইল কথা বললে সেটায় ওর কথা। সারাদিন আর কার সাথেই বা কথা ওর। আমিও তো দরকারি ছাড়া পাশে বসে কখন গল্প করেছি ভুলে গিয়েছি। 

এইভাবে তিন চার দিন দেখার পর নিজেকে ভীষণ অপরাধী লাগছে। কত আদরের মেয়ে ছিলো নীলা।  দশটায় ঘুম থেলে উঠে ভার্সিটি যেতো। আমার সাথে দেখা করতে এলে কত সেজে গুজে আসতো,  অনেক লম্বা চুল ছিলোম, যত্ন করতো, আর এখন। আমার ঘর আমার সন্তাদের জন্য তো কোন শখ ওর নেই। আর আমি ওকে ভালোবাসতেই ভুলে গেছি। 

তখন আমার কলিগ শফিক সাহেব এলো। ওনাকে বললাম, 
-শফিক ভাই,  আপনার মিসেস তো জব করে,ঘরের কাজ বাচ্চা আপনার মা বাবা কে দেখে? 
- আমার মিসেস অনেক করে ভাই, সকালে উঠে রান্না টা করে আসে। দুইটা কাজের মেয়ে আছে। একটা বাচ্চা দেখে আর একটা ছুটা কাজ করে। মা বাবা অসুখ বিসুখ হলে ঝামেলায় পড়ি। নার্স আনতে হয়। বাচ্চাটা সবে স্কুলে দিয়েছি তার জন্য ও টিচার আছে। 
- বেতন কেমন তাদের? 
-ওরে বাবা, সেটা বলিয়েন না ভাই, ছুটা বুয়ার বেতন ২০০০ টাকা, পার্রমেন্টটা ৫০০০ টাকা। টিচার ৩০০০ টাকা। নার্স আনলে তো ডেইলি ১২০০  টাকা। 
আপনার তো ভাই সেসব খরচ নেই। সব একা মিসেসেই করে ফেলে। 
আর আমরা ছুটির দিনে প্রায় ঘুরতে যায়। মিসেস সারা উইকেন্ডে কাজ করে রিলেক্স চায়। সেটাও একটা খরচ। 

তারপর ভাই মেয়েদের ধন্যবাদ দিতেই হয়। আমার মিসেস সারাদিন কাজ করে আবার ঘরে সব দিকে নজর। কাজের মেয়েটাকে আসলেই ধন্যবাদ এত কিছু সামলাই। 

আমার নিজেকে এখন অপর্দাথ মনে হচ্ছে। টাকা দিয়ে কাজ করানো কাজের মেয়েকেও ধন্যবাদ দেওয়া যায় কিন্তু সব কিছু বির্সজন দিয়ে সে এত বছর ধরে আমার সংসার বিনা বেতনেই কাজ করে যাচ্ছে তাকে কখনো কি আমি ধন্যবাদ দিয়েছি একটা? 

এখন আমি টুকটাক কাজ করে দিই নীলাকে। নিজের কাপড় নিজে ধুয়ে ফেলি। নীলাকে বলি 
-আগে তো কত সেজে থাকতে। যত্নে করতে এখন করো না কেন?
-আগে তো দেখার মানুষ ছিলো এখন আছে নাকি? 
-আমাকে বলো কি কি লাগবে এনে দিবো। 
নীলা ভ্রু কুচকে তাকায়। আবার মিষ্টি হাসে। 

খাওয়া দাওয়ার আগে টেবিলটা ঠিক করে রাখি পানি নিয়ে রাখি। মাঝেমধ্যে ফার্নিচার গুলো আমিই মুছে রাখি। খাওয়া শেষে নীলা যখন থালাবাসন পরিস্কার করে আমি তখন টেবিলটা গুছিয়ে ফেলি। নীলাকে বলেছি তোমাকে আর আয়রন করতে হবে না। ছুটির দিনে আমি দোকানে দিয়ে আসবো। 
-টাকা?
- সপ্তাহে ছয়টা শার্ট আয়রন করতে যত টাকা লাগবে তত টাকার তো আমি একবারের চা নাস্তা খাই। 

খেয়াল করলাম আমার ছোট্ট ছোট্ট কাজে নীলার কাজের অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে। নিজের যত্ন করে৷ এখন অত রাগারাগিও করে না। আমি ফোন দিয়ে তারাতারি খেয়ে নিতে বলি। এইটা করতে আমার  সময় ব্যয় হয় না। কিন্তু নীলাকে দেখি আয়নায় সামনে গিয়ে একটু হাসে। তখন আমার বুকের থম ধরা ভাবটা একটু কাটে। 

কেন ক্যামরা লাগিয়েছিলাম নিজেই ভুলে গেছি। এত কিছুর মধ্যে আমি নীলাকে কত সময় দিয়েছি। যা সন্দেহ করেছি তা যদি ঠিক ও হতো দোষটা কি আমার হতো না? 
 আরেক ছুটির দিনে সব ক্যামরা খুলে ফেলি। নীলাকে সব বলি। নীলা বলে - কি পেলে তো? 
- তোমাকে খুজে পেলাম আবার,  আমার ঘরের বউ আর বাচ্চার মা নয়। নীলা হিসেবে তোমায় পেলাম। 
ধন্যবাদ তোমাকে নীলা। 
-কেন? 
- এই যে এত কিছু করো আমাদের  সংসারের জন্য। 
- ধন্যবাদ তোমাকে আকাশ। আমার মতো হাজারো নীলা তো প্রতিটি ঘরেই আছে। যারা সবটা দিয়েই সামান্য ধন্যবাদ আশা রাখেনা। কিন্তু তোমার মতো দেরীতে হলেও কয় জনে সেটা বুঝতে পারে বলো তো? 

- তাই? তা তোমাকে ধন্যবাদ হিসেবে জামদানী দিবো ভাবছিলাম। তাহলে লাগবে না মনে হয়।  হি হি হি। 

- ওমা। কেন লাগবে না?  আর আমি তোমাকে ধন্যবাদ হিসেবে তিতা করলার রস খাওয়াবো কাল থেকে। 
 তোমার পেট বেড়ে যাচ্ছে। 
-এমা,  না না। 

নীলা তখন উচ্চস্বরে হেসে উঠল। ঠিক আগের প্রেমিকার মতো। ও তো প্রেমিকায় রয়ে গেছে শুধু আমি প্রেমিক হতে ভুলে গেছি। 

নীলা হাসছে, তার সাথে হাসছে ঘরের দেওয়াল টা, ছবির ফ্রেমটা দেখি দুলে দুলে হাসছে, বারান্দার সিল্কের পর্দাটা খুব জোরে বাতাসে দুলছে। বারান্দার নয়নতারা ফুলের গাছটা হাওয়ার ঝোকে হাসছে নীলার হাসির সাথে। 

শরীলের ভিতরে কেনো পানি জমা হয়

শরীলের ভিতরে কেনো পানি জমা হয়

 শরীরে কেন পানি আসে

 পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে:

মানুষের শরীরে পানি আসার একটি অতি সাধারণ কারণ হচ্ছে কম পানি পান করা। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে ইলেক্ট্রোলাইটের লেভেল বৃদ্ধি পায়। যার ফলে শরীরে পানি জমে। এর অর্থ এই নয় যে আপনি মাত্রাতিরিক্ত পানি পান করবেন। এর ফলে উল্টো প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের  দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করাই যথেষ্ট।



 
একটানা বসে থাকলে:

অনেক বেশি সময় ধরে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে আমাদের শরীরে রক্ত সংবহন কম যায়। আর রক্ত সংবহন কমে যাওয়ার ফলে শরীরে পানি জমতে পারে। এটি প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে শারীরিক সক্রিয়তা। একাধারে অনেকক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে না থেকে হাঁটাহাঁটি করুন। প্রতি ২-৩ ঘন্টার মধ্যে ওয়াশরুমে ঘুরে আসুন অথবা একটু হাঁটাহাঁটি করুন অথবা একটু দাঁড়িয়ে থাকুন।

অতিরিক্ত লবণ:

অত্যধিক লবণ খাওয়া শরীরে পানি জমার আরেকটি অন্যতম কারণ। সোডিয়াম পানিকে আবদ্ধ করে ফেলে এবং শরীরের কোষের ভেতরের ও বাহিরের তরলের মাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে। উচ্চমাত্রার সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন- প্রসেসড ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খাবারের সাথে বাড়তি লবণ গ্রহণের অভ্যাস এখুনি বাদ দিন।

ম্যাগনেসিয়াম শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ উপাদান। শরীরের অতিরিক্ত পানি জমার সমস্যাটি কমানো যায় ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে। গবেষণায় জানা যায় যে, দৈনিক ২০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করলে মেয়েদের শরীরে পানি আসার সমস্যা কমে। বাদাম, ডার্ক চকলেট, হোল গ্রেইন ও সবুজ শাকসবজিতে ম্যাগনেসিয়াম থাকে।

স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যা:

কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা যেমন- কিডনি রোগ, হৃদরোগ, লিভার ইনফেকশন, ব্রেইন টিউমার ইত্যাদির কারণেও এডিমা (শরীরে পানি আসা) হতে পারে।

 ওষুধের প্রতিক্রিয়া:

কিছু কিছু ওষুধ আছে যেগুলোর প্রতিক্রিয়ার ফলেও শরীরে পানি জমতে পারে। যেমন- “হাই ব্লাড প্রেশারের ওষুধ এম্লোডিপিন” সেবনের ফলে পানি আসতে পারে শরীরে। এছাড়াও নন স্ট্যারয়ডাল অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ওষুধ, কর্টিকোস্ট্যারয়েডস, বার্থ কন্ট্রোল পিল এডিমা (শরীরে পানি আসা) সৃষ্টিতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে থাকে।

 আর হ্যাঁ, এই লেখা দেখা মাত্রই কোন ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া একদমই উচিত নয়, যেকোন ওষুধ বাদ দেয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তারপর বাদ দিন।

আপনার যদি এই ধরণের কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরার্শ নিন যতদ্রুত সম্ভব।

Saturday, 4 June 2022

মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ছেলের জন্ম দিলেন পঞ্চগড়ে

মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ছেলের জন্ম দিলেন পঞ্চগড়ে

মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ছেলের জন্ম দিলেন পঞ্চগড়ে

পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের জগদল বাজার এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী রাস্তার ধারে বালির ঢিবিতে সন্তান প্রসব করেছেন। ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম নিয়েছে তার।

শনিবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জগদল বাজারের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে মহাসড়কে ঘুরতে ঘুরতে প্রসব ব্যথা ওঠে তার। পরে বুঝতে পেরে রাস্তার ধারে আশ্রয় নেন ওই নারী।

পরে পাশের এক বালির ঢিবিতে দিয়ে সন্তান জন্ম দেন তিনি।

মানসিক ভারসাম্যহীন নারী (২৫) পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের তেলিপাড়া এলাকার বসবাস করেন।

 

শনিবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জগদল বাজারের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে মহাসড়কে ঘুরতে ঘুরতে প্রসব ব্যথা ওঠে তার। পরে বুঝতে পেরে রাস্তার ধারে আশ্রয় নেন ওই নারী।

পরে পাশের এক বালির ঢিবিতে দিয়ে সন্তান জন্ম দেন তিনি।

মানসিক ভারসাম্যহীন নারী (২৫) পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের তেলিপাড়া এলাকার বসবাস করেন।


তার স্বামী একজন ভ্যান চালক।

জানা গেছে, ওই নারী স্বামীর বাড়ি থেকে এদিকে সেদিক ঘোরাফেরা করতেন।

গর্ভবতী হওয়ার পর তাকে দেখভালের জন্য বাবার বাড়িতে রাখা হয়। এর মধ্যে আজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যান ওই নারী।

সন্তান জন্ম হওয়ার পর নবজাতকের কান্নায় স্থানীয় লোকজন ওই নারীকে ঘিরে ধরে সেল্টার দেয়।

পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন তারা। অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসে সদস্যরা মা ও শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, সকালে ওই নারীকে সন্তান প্রসব করতে দেখেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ছাব্বির হোসেন। তিনি ওই প্রসূতিকে সন্তানসহ মাটিতে গড়াগড়ি করতে দেখে অন্যান্যদের ডেকে প্রাথমিক সহায়তা ও কাপড় দেন। লোকে যাতে না দেখে ফেলে, সে কারণে ওই নারীকে কাপড় দিয়ে ঢেকেও দেন তারা। পরে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে সদস্যরা দ্রুত এতে মা ও শিশুকে নিয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন।

অনেক খোঁজাখুঁজি করে ওই নারীর পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়। তারা হাসপাতালে আসার পর জানা গেছে, ৭ মাস আগে তাদের মেয়েকে বাড়ি দিয়ে যান জামাই। যত্ন আত্তি করা হচ্ছিল। কিন্তু কেউকে কিছু না বলে আজ সকালে তাদের মেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।



পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সন্তান প্রসবের পর ব্যথায় গড়াগড়ি করার কারণে নবজাতকের নাকে ও মুখে বালু ঢোকে। হাসপাতালে আনার পর তা পরিষ্কার করা হয়। চিকিৎসার জন্য ইউনিটে ভর্তি আছেন দুজনই। এখন সন্তান ও মা দুজনই ভালো আছেন।

Monday, 23 May 2022

জমি ক্রয়ের পুর্বে  যে বিষয় গুলো যাচাই করবেন

জমি ক্রয়ের পুর্বে যে বিষয় গুলো যাচাই করবেন

জমি ক্রয়ের পুর্বে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো যাচাই করুনঃ

১। বিক্রেতার সঠিক মালিকানা ও হস্তান্তরের বৈধ অধিকার আছে কি-না।

২। প্রস্তাবিত সম্পত্তির সর্বশেষ #খতিয়ান দাতার নিজ নামে কিংবা পুর্ব পুরুষের সম্পত্তি হলে প্রস্তাবিত সম্পত্তির সর্বশেষ খতিয়ান পুর্ব পুরুষের নামে আছে কি-না।

৩। হাল সন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ আছে কি-না।

৪। প্রস্তাবিত সম্পত্তির বিক্রেতার দখলে আছে কি-না।

৫। সম্পত্তিটি খাস কিংবা সরকারি নয়।

৬। অন্য কোন পক্ষের সাথে বিক্রয় চুক্তি বা বায়না পত্র রেজিস্ট্রি করা নাই।


৭। ব্যাংক বা কোন আর্থিক প্রতিষ্টানের নিকট দায়বদ্ধ নয়।

৮। নাবালকের সম্পত্তি হলে বৈধ অভিভাবক অথবা আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অভিভাবকের বিক্রয়ের ক্ষমতা আছে কি-না

৯। হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত সম্পত্তি বাংলাদেশ দালাল (বিশেষ ট্রাইবুনাল) আদেশ ১৯৭২এর অধীন ক্রোকের আওতাধীন নয়।

১০। বাংলাদেশ পরিত্যক্ত সম্পত্তি (নিয়ন্ত্রন,ব্যবস্হাপনা ও নিষ্পত্তি) আদেশ ১৯৭২,এর অর্থানুযায়ী পরিত্যক্ত নয়।

১১। হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত সম্পত্তি সরকারেরঅনুকুলে বাজেয়াপ্ত নয়।

১২। প্রস্তাবিত হস্তান্তর আপাততঃ বলবত অন্য কোন আইনের কোন বিধানের সহিত সাংঘর্ষিক নয়।

১৩। জমি বিক্রয়ের জন্য অ্যাটর্ণি নিয়োগ করা আছে কি-না।

Wednesday, 18 May 2022

কালো ধান চাষ করেছে তরুণ কৃষক সাদেকুল তেতুলিয়াই

কালো ধান চাষ করেছে তরুণ কৃষক সাদেকুল তেতুলিয়াই

তেঁতুলিয়ায় কালো ধান চাষ করেছে তরুণ কৃষক সাদেকুল

দেশের উত্তরের সীমান্ত পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধানের চাষ শুরু হয়েছে। ইসলামবাগ গ্রামে এ ধান চাষ করেছেন তরুণ কৃষক সাদেকুল ইসলাম সুষম। এই ধান দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন অনেকে। ফলন ভাল এবং দামি হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরাও এ ধান চাষের উদ্যোগ নিচ্ছেন।
সাদেকুল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনই হাট ইউনিয়নের ইসলামবাগ গ্রামের ফেরদৌস কামালের ছেলে। ঢাকা কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করে বর্তমানে বাবার জমির দেখাশোনা ও চাষাবাদ করছেন। ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে ঢাকার গাজীপুর থেকে এ কালোধানের বীজ সংগ্রহ করেন তিনি। 

সাদেকুল জানান, করোনাকালে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে নিজেদের ৬০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক ব্ল্যাক রাইস প্রজাতির ধানের চাষ করেন তিনি। গত জানুয়ারি মাসের শেষে এই ধান রোপণ করেন। মাত্র ৩ মাসের মধ্যে প্রত্যেক গাছেই প্রচুর পরিমাণে ফলন ধরেছে। কিছুদিনের মধ্যেই মাড়াই শুরু হবে। ধানগুলো দেখতে যেমন কালো, চালও দেখতে তেমন কালো।  


তিনি বলেন, বাংলাদেশে দশ প্রকারের কালো ধান চাষ হয়। তবে আমি তিন প্রকারের ধান চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি জমিতে ১৫-১৮ মণ ধান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূল্য যদি আকর্ষণীয় হয় এবং চাহিদা যদি থাকে তাহলে আগামীতে ব্লাক রাইসের চাষ আরও বৃদ্ধি করবো। কেননা, এ ধান চাষে অতিরিক্ত ঝুঁকি এবং খরচ নেই। এটি সাধারণ ধানের মত চাষ হলেও অতিরিক্ত সার বা পানির প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় না আলাদা কোনো পরিচর্যারও। অথচ এ ধানের দাম অনেক বেশি। ২ বিঘা জমিতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ধান বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন তিনি। এই ধানের উপকারিতার কথা শুনে অনেক কৃষকই বীজ সংগ্রহের জন্য তাকে বলে রেখেছেন।  

তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ধানের চাল উৎপাদন করে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে তা দেশের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, ব্ল্যাক রাইস একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ধান; ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধী। ব্ল্যাক রাইসের চালে মূলত ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এতে ফাইবার অনেক বেশি থাকে। ফলে এ চালের ভাত শরীরে গ্লুকোজ তৈরি করে খুব ধীর গতিতে। ফলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ কারণে এ চালকে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব কার্যকর বলা হয়।  এছাড়া আমিষ, ভিটামিন, জিংক, খনিজ পদার্থসহ অন্য উপাদানগুলো সাধারণ চালের চেয়ে অন্তত তিনগুণ বেশি।  বর্তমানে পৃথিবীর নতুন সুপার ফুড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এ ধানকে।

কোথায় কীভাবে পাবেন জমির এই উল্লেখযোগ্য ডকুমেন্ট

কোথায় কীভাবে পাবেন জমির এই উল্লেখযোগ্য ডকুমেন্ট

কোথায় কীভাবে পাবেন জমির এই উল্লেখযোগ্য ডকুমেন্ট?
➥১. পর্চা বা খতিয়ান। 
➥২. দলিল। 
➥৩. ম্যাপ বা নকশা।

এই ডকুমেন্টগুলো ছাড়া আপনি জমি বিক্রয়, হস্তান্তর অথবা ব্যাংক লোন হতে নানান সমস্যা হয়।
সেকারণে, জমির খতিয়ান, দলিলসহ সকল কাগজপত্র সংগ্রহে রাখার জন্য সরকারি নানান দপ্তর রয়েছে, যারা ভূমি সংক্রান্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখে। এখন আপনার কাজ হল, ঐ সকল দপ্তরগুলো কে নিশ্চিত করে তাদের শরণাপন্ন হওয়া ও কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করা।
নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো, কোথায়, কীভাবে এবং কত সময়ের ভেতরে আপনি জমির খতিয়ান, দলিল ও নকশা সংগ্রহ করবেন।
➥প্রথমত,আপনার জমির খতিয়ান বা পর্চা কোথায় পাবেন.?
জমির পর্চা বা খতিয়ান মূলত চারটি অফিসে পাবেন। তা হলো,
১/ইউনিয়ন ভূমি অফিস।
২/উপজেলা ভূমি অফিস।
৩/জেলা ডিসি অফিস।
৪/সেটেলমেন্ট অফিস।

➤ইউনিয়ন ভূমি অফিস বা তহশিল অফিস। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যদিও খতিয়ান বা পর্চার বালাম বহি থাকে কিন্তু আপনি এই অফিসে হতে খতিয়ানের কপি নিতে পারবেন না। ইউনিয়ন ভূমি অফিস হতে শুধু খসরা খতিয়ান নিতে পারবেন যেটা আইনত কোন মূল্য নেই তারপরেও এই অফিসটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনার জমির খতিয়ান নাম্বার জানা না থাকলে এই অফিস থেকে জেনে নিতে পারবেন এছাড়া জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর এই অফিসে দিতে হয়।

➤উপজেলা ভূমি অফিস
যদিও উপজেলা ভূমি অফিসের মূল কাজ নামজারী বা খারিজ বা মিউটেশন করা তবে খসরা খতিয়ান তুলতে পারবেন। এই অফিস হতেও খতিয়ানের সার্টিফাইড পর্চা বা কোর্ট পর্চা তুলতে পারবেন না।

➤জেলা ডিসি অফিস
এই অফিস হতে পর্চা বা খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি সংরক্ষণ করতে পারবেন। এই অফিসের খতিয়ান এর গুরুত্ব সর্বাধিক। সব জায়গায় এই অফিসের খতিয়ান এর গুরুত্ব রয়েছে।

➤সেটেলমেন্ট অফিস
শুধুমাত্র নতুন রেকর্ড বা জরিপের পর্চা / খতিয়ান এই অফিস হতে সংগ্রহ করা যাবে।
পাশাপাশি নতুন রেকর্ড এর ম্যাপ ও সংগ্রহ করা যায়।
❖প্রশ্নঃ খতিয়ান তুলতে কত টাকা লাগবে.?
উত্তরঃ সি এস, এস এ, আর এস, এর জন্য কত টাকা দিতে হবে তা নির্ভর করে ঐ স্থানের সিন্ডিকেটের উপর। তবে সিটি জরিপের জন্য 100 টাকা খরচ হবে।
➥দ্বিতীয়ত, আপনার জমির দলিল বা বায়া দলিল কোথায় পাবেন?
দলিল বা দলিল এর সার্টিফাইড কপি বা নকল মূলত দুটি অফিস হতে সংগ্রহ করা যায়, তা হলো।
১/উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস।
২/জেলা রেজিস্ট্রি বা সদর রেকর্ড রুম অফিস।

➤উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস
যেখানে নতুন দলিল রেজিস্ট্রেশন করা হয় এই অফিস হতে নতুন দলিলের নকল ও মূল দলিল পাওয়া যায়। কিন্তু পুরাতন দলিল বা বায়া দলিল এই অফিসে পাওয়া যায় না।

➤জেলা রেজিস্ট্রি অফিস বা সদর রেকর্ড রুম।
এই অফিসে নতুন বা পুরাতন দলিলের সার্টিফাইড কপি বা নকল পাওয়া যায়। 
❖ প্রশ্নঃ দলিল তুলতে কত টাকা খরচ হয়.?
উত্তরঃ সরকারি খরচ যদিও সামান্য কিন্তু নকলের খরচ নির্ভর করে ঐ স্থানের সিন্ডিকেটের উপর।
➥ আপনার জমির মৌজা ম্যাপ বা নকশা কোথায় পাবেন?
সাধারণত ম্যাপ বা নকশা দুইটি অফিসে পাবেন, তা হলো
১/জেলা ডিসি অফিস
২/ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর ( DLR) অফিস, ঢাকা।

➤জেলা ডিসি অফিস:
এই অফিস হতে সিএস, এসএ, আরএস, বিএস যেকোনো মৌজা ম্যাপ সংগ্রহ করা যাবে।
সংগ্রহ করতে যা লাগবে আবেদন ফরম + 20 টাকার কোর্ট ফি এবং 500 টাকা নগদ জমা বাবদ বা ডি.সি.আর বাবদ। অর্থাৎ 530 টাকায় মৌজা ম্যাপ তুলতে পারবেন।

➤ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, (তেজগাঁও সাতরাস্তার মোড়), ঢাকা।
সারা বাংলাদেশের যে কোনো মৌজা ম্যাপ সিএস, এসএ, আরএস, বিএস, জেলা ম্যাপ, বাংলাদেশ ম্যাপ উক্ত অফিস হতে তুলতে পারবেন।
এই অফিসের ম্যাপের গ্রহণযোগ্যতা ও অনেক বেশি। সারা বাংলাদেশের যে কোন ম্যাপ এই অফিসে পাওয়া যায়। ম্যাপ তুলতে খরচ আবেদন ফরম + কোর্ট ফি + ডি.সি.আর মোট= ৫৫০/= টাকা মাত্র।

❖প্রশ্নঃ ম্যপ তুলতে কতদিন সময় লাগে?
উত্তরঃ আবেদন করার দিন হতে, ৫-৮ কার্য দিবসের ভিতরে ম্যাপ সরবরাহ করা হয়।
 অসময়ে ফলধারণের কলাকৌশল পেয়ারা গাছের

অসময়ে ফলধারণের কলাকৌশল পেয়ারা গাছের

পেয়ারা গাছে অসময়ে ফলধারণের কলাকৌশল।

অত্যন্ত জনপ্রিয় ও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল পেঁয়ারা। বাংলাদেশের সর্বত্রই কম বেশি এ ফল জন্মে থাকে। 
সাধারণত বর্ষা ও শীত ঋতুতে গাছে পেয়ারা হয়। তবে শীত অপেক্ষা বর্ষাকালে ফলন একটু বেশি হয়ে থাকে। পেয়ারা গাছে অসময়ে ফলধারণের পদ্ধতিসমূহ
বর্তমানে পেঁয়ারা গাছে বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের জন্য কৃষি বিজ্ঞানীগণ বেশ কয়েকটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। সেগুলো হলো শিকড় উন্মুক্তকরণ পদ্ধতি, হরমোন জাতীয় পদার্থ প্রয়োগ পদ্ধতি ও শাখা-প্রশাখা বাঁকানো পদ্ধতি।

ক)  শিকড় উন্মুক্তকরণ পদ্ধতি:

পেঁয়ারা গাছের গোড়ার মাটি তুলে বা আলগা করে দিতে হবে। মাটি তুলে দিয়ে গাছের শিকড়গুলো বের করে নাড়া চাড়া দিয়ে দিতে হবে। গাছের গোড়া থেকে ০১ থেকে ১.৫ মিটার (পেঁয়ারা গাছের ক্যানপি) পর্যন্ত মাটি কোদাল, শাবল বা নিড়ানি দ্বারা খুব ভালোভাবে সাবধানতার সাথে মাটি উন্মুক্ত করে দিতে হবে।

মাটি তুলে দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, গাছের শিকড়গুলো কেটে না যায়। বিশেষ করে গাছের আসল মূল (টেপ রুট) কাটা ও উৎপাটন করা যাবে না। গাছ নাড়ানো যাবে না। সাধারণত যে কোন বয়সের পেঁয়ারা গাছে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়। গোড়ার মাটি উন্মুক্ত করার কমপক্ষে ১০-১৫ দিন পর পরিচর্যা করতে হবে। পরিচর্যাকালে পরিমাণমত সার ও সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

এ পদ্ধতিতে গাছের পাতা লাল হয়ে ঝড়ে যেতে পারে। আমাদের দেশে এপ্রিল-মে মাসে পেঁয়ারা গাছে শিকড় উন্মুক্ত করতে হয়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে পেঁয়ারা গাছে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ফলধারণ করে।

খ) হরমোন জাতীয় পদার্থ প্রয়োগ পদ্ধতি:

সাধারণত ২-৫ বছর বিশিষ্ট পেঁয়ারা গাছে হরমোন প্রয়োগ করতে হয়। এপ্রিল-মে মাসে হরমোন প্রয়োগ করার উৎকৃষ্ট সময়। এই সময়ে হরমোন জাতীয় পদার্থ হিসেবে ২,৪-ডি; ন্যাপথালিন এসিটিক এসিড (এনএএ), ১০% ইউরিয়ার দ্রবণ এসব রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। স্প্রে মেশিন বা ফুট পাম্প দিয়ে খুব ভালো করে পেঁয়ারা গাছের পাতা ভিজিয়ে দিতে হবে। কয়েক দিনের মধ্যেই গাছের পাতা লালচে হয়ে ঝড়ে যেতে পারে। পরবর্তীতে গাছে সঠিক পরিচর্যা নিলে নতুন পাতা জন্মাবে এবং অসময়ে ফলধারণ হবে।

গ) শাখা-প্রশাখা বাঁকানো পদ্ধতি

শাখা-প্রশাখা বাঁকানো পদ্ধতি সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি। পেঁয়ারার ডাল বাঁকালেই প্রায় দশগুণ বেশি ফলন হয়। তাছাড়া একই প্রযুক্তিতে বছরের বার মাসই ফল ধরানো সম্ভব হয়। ফলের মৌসুমে গাছের ফুল ছিড়ে দিয়ে এ প্রক্রিয়াকে আরো প্রভাবিত করা যায়, যার ফলে সারা বছরই ফলের মৌসুমের তুলনায় কমপক্ষে আট থেকে দশগুণ ফল ধরবে গাছে।

এ লক্ষ্যে ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গবেষণার মাধ্যমে ‘গাছের ডাল বাঁকানো’ পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। বছরে দু’বার অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে এবং হেমন্তকালে শাখা- প্রশাখার নিয়ন্ত্রিত বিন্যাসের মাধ্যমে সারা বছর পেঁয়ারার ফুল ও ফলধারণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। গাছের বয়স দেড় থেকে দু’বছর হলেই এই পদ্ধতি শুরু করা যাবে এবং পাঁচ থেকে ছয় বছর পর্যন্ত এই পদ্ধতিতে ফলন বাড়ানো সম্ভব।

ডাল বাঁকানোর ১০ থেকে ১৫ দিন আগে গাছের গোড়ায় সার ও পানি দিতে হয়। ডাল বাঁকানোর সময় প্রতিটি শাখার অগ্রভাগের প্রায় এক থেকে দেড়ফুট অঞ্চলের পাতা ও ফুল-ফল রেখে বাকি অংশ ছেটে দিতে হয়। এরপর ডালগুলোকে সুতা দিয়ে বেঁধে তা বাঁকিয়ে মাটির কাছাকাছি করে সাথে অথবা খুঁটির মাধ্যমে মাটিতে বেঁধে দিতে হয় ।

গ্রীষ্মকালে মাত্র দশ থেকে বার দিন পরেই নতুন ডাল গজানো শুরু হয়। নতুন ডাল ১ সে.মি. লম্বা হলে বাঁধন খুলে দেওয়া হয়। আর হেমন্তকালে নতুন ডাল গজাতে বিশ থেকে পঁচিশ দিন সময় লাগে। ডাল বাঁকানোর ৪৫ থেকে ৬০ দিন পরে ফুল ধরা শুরু হয়। এভাবে গজানো প্রায় প্রতি পাতার কোলেই ফুল আসে। এ পদ্ধতিতে সারা বছরই ফলন পাওয়া যায়।

বিশেষ ব্যবস্থাপনাসমূহ

পেঁয়ারা গাছের আকার আকৃতি, কাঠামো ও গুণগত মানের ফলধারণের জন্য গাছে বিশেষ কতগুলো ব্যবস্থাপনা করা যায়। এ ব্যবস্থাপনাগুলোর মধ্যে অঙ্গ ছাঁটাই, ডাল নুয়ে দেয়া, ফুল ছিড়ে দেয়া, ফল পাতলাকরণ, ফল ঢেকে দেয়া এসব পদ্ধতি।

অঙ্গ ছাঁটাই: 

গাছের মরা, শুকনা, চিকন, লিকলিকে, রোগাক্রান্ত ও প্রয়োজনহীন ডালপালা ছাঁটাই করাকে অঙ্গ ছাঁটাই বলা হয়। রোপণকৃত চারা বা কলমের আকার, আকৃতি ও কাঠামো সুন্দর করার উদ্দেশ্যে মাটি থেকে ১.০ থেকে ১.৫ মিটার উপরে বিভিন্ন দিকে ছড়ানো ৪-৫ টি ডাল রেখে গোড়ার দিকের সমস্ত ডাল ছাঁটাই করে দিতে হবে। বয়স্ক গাছের ফল সংগ্রহের পর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে অঙ্গ ছাঁটাই করা হয়। এতে গাছে নতুর ডালপালা গজায়, প্রচুর ফুল হয় এবং গুণমানের উৎকৃষ্ট ফলধারণ করে।

ডাল নুয়ে দেয়া: 

পেঁয়ারা গাছের খাড়া ডালে সাধারণত ফুল ও ফল খুবই কম ধরে। তাই খাড়া ডালগুলোকে যদি ওজন বা টানার সাহায্যে নুয়ে দিলে প্রচুর পরিমাণ নতুন শাখা গজায় । নতুন ডালপালায় গুণগতমানের ফলধারণ ও ফলন বৃদ্ধি পায়।

ফুল ও ফল পাতলাকরণ: 

কাজী পেঁয়ারা ও বারি পেঁয়ারা-২ এর গাছে প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক ফুল ও ফল আসে। ফল আকারে বড় হওয়ার গাছের পক্ষে সব ফল ধারণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলের ভারে ডালপালা ভেঙ্গে যায় এবং ফল আকারে ছোট ও নিম্নমানের হয়। এমতাবস্থায়, গাছকে দীর্ঘদিন ফলবান রাখতে ও মানসম্পন্ন ফল পেতে হলে প্রথমেই কিছু ফুল এবং পরে ফল ছোট থাকা অবস্থায় (মার্বেল অবস্থা) ৫০-৬০% ফল পাতলা করে দেয়া দরকার।

কলমের গাছের ক্ষেত্রে কোন অবস্থাতেই প্রথম বছর ফল নেয়া উচিত হবে না। তাই ফুল আসার সাথে সাথে ছিড়ে ফেলে দেয়া প্রয়োজন। দ্বিতীয় বছর অল্প পরিমাণ ফল নেওয়া ভালো। এভাবে গাছের বয়স ও অবস্থা বুঝে ফল রাখতে হবে। পরিকল্পিত উপায়ে ফুল বা ফল পাতলা করে প্রায় সারাবছর কাজী পেঁয়ারা ও বারি পেঁয়ারা-২ জাতের গাছে ফল পাওয়া যাবে।

ফলের ব্যাগিং বা ফল ঢেকে দেয়া: 

পেঁয়ারা ছোট অবস্থাতেই ব্যাগিং করলে রোগ, পোকামাকড়, পাখি, বাদুর, কাঠবিড়ালি এসব থেকে সহজেই রক্ষা করা যায়। ব্যাগিং করা ফর অপেক্ষাকৃত বড় আকারের এবং আর্কষণীয় রঙের হয়। ব্যাগিং বাদামী কাগজ বা ছোট ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে করা যেতে পারে।

ব্যাগিং করলে সূর্যেও আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে প্রতিহত হয় বিধায় কোষ বিভাজন বেশি হয় এবং ফল আকারে বড় হয়। ব্যাগিং করার পূর্বে অবশ্যই প্রতি লিটার পানির সাথে ০.৫ মিলি হারে টিল্ট ২৫০ ইসি মিশিয়ে সমস্ত ফল ভালভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।

বিশেষ ব্যবস্থাপনাসমূহের মাধ্যমেও সহজেই পেঁয়ারা চাষে আর্থিক লাভবান করা সম্ভব। তাই পরিকল্পিত উপায়ে প্রযু্িক্তভিত্তিক পেঁয়ারা চাষের প্রতি কৃষক ভাইদের উদ্বুদ্ধ ও বাস্তবায়ন করার জন্য গবেষক, বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণবিদ, কৃষি কর্মী সর্বোপরি সরকারের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার. প্রশ্ন উত্তর

ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার. প্রশ্ন উত্তর

ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন ও উত্তর। নিজে শিখুন এবং অন্যকে শেখার জন্য উৎসাহিত করুন। 

০১. প্রশ্ন : মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তরঃ মোটরযান আইনে মোটরযান অর্থ কোনো যন্ত্রচালিত যান, যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভিতরের কোনো উৎস হতে সরবরাহ হয়ে থাকে।
০২. প্রশ্ন : গাড়ি চালনার আগে করণীয় কাজ কী কী ?
উত্তরঃ ক. গাড়ির হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্সটোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইনসিওরেন্স (বিমা) সার্টিফিকেট, রুট পারমিট ইত্যাদি) গাড়ির সঙ্গে রাখা।
খ. গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।
গ. রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।
ঘ. ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা করা।
ঙ. লুব/ইঞ্জিন অয়েলের লেবেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা, কম থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।
চ. মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেকফ্লুইড, ব্রেকঅয়েল পরীক্ষা করা, কম থাকলে নেওয়া।
ছ. গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি, স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, নাট-বোল্ট টাইট আছে কি না অর্থাৎ সার্বিকভাবে মোটরযানটি ত্র“টিমুক্ত আছে কি না পরীক্ষা করা।
জ. ব্রেক ও ক্লাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।
ঝ. অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র এবং ফাস্টএইড বক্স গাড়িতে রাখা।
ঞ. গাড়ির বাইরের এবং ভিতরের বাতির অবস্থা, চাকা (টায়ার কন্ডিশন/হাওয়া/নাট/এলাইমেন্ট/রোটেশন/স্পেয়ার চাকা) পরীক্ষা করা।

০৩. প্রশ্ন : মোটরযানের মেইনটেনেন্স বা রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ ত্রুটিমুক্ত অবস্থায় একটি গাড়ি হতে দীর্ঘদিন সার্ভিস পাওয়ার জন্য প্রতিদিন গাড়িতে যে-সমস্ত মেরামত কাজ করা হয়, তাকে মোটরযানের মেইনটেনেন্স বলে।

০৪. প্রশ্ন : একটি মোটরযানে প্রতিদিন কী কী মেইনটেনেন্স করতে হয় ?
উত্তরঃ ২ নং প্রশ্নের উত্তরের খ থেকে ঞ পর্যন্ত।

০৫. প্রশ্ন : সার্ভিসিং বলতে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ মোটরযানের ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর যে-কাজগুলো করা হয়, তাকে সার্ভিসিং বলে।

০৬. প্রশ্ন : গাড়ি সার্ভিসিংয়ে কী কী কাজ করা হয় ?
উত্তরঃ ক. ইঞ্জিনের পুরাতন লুবঅয়েল (মবিল) ফেলে দিয়ে নতুন লুবঅয়েল দেওয়া। নতুন লুবঅয়েল দেওয়ার আগে ফ্লাশিং অয়েল দ্বারা ফ্লাশ করা।
খ. ইঞ্জিন ও রেডিয়েটরের পানি ড্রেন আউট করে ডিটারজেন্ট ও ফ্লাশিংগান দিয়ে পরিষ্কার করা, অতঃপর পরিষ্কার পানি দিয়ে পূর্ণ করা।
গ. ভারী মোটরযানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রিজিং পয়েন্টে গ্রিজগান দিয়ে নতুন গ্রিজ দেওয়া।
ঘ. গাড়ির স্পেয়ার হুইলসহ প্রতিটি চাকাতে পরিমাণমতো হাওয়া দেওয়া।
ঙ. লুবঅয়েল (মবিল) ফিল্টার, ফুয়েল ফিল্টার ও এয়ারক্লিনার পরিবর্তন করা।

০৭. প্রশ্ন : গাড়ি চালনাকালে কী কী কাগজপত্র গাড়ির সঙ্গে রাখতে হয় ?
উত্তরঃ ক. ড্রাইভিং লাইসেন্স, খ. রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ব্লু-বুক), গ. ট্যাক্সটোকেন, ঘ. ইনসিওরেন্স সার্টিফিকেট, ঙ.ফিটনেস সার্টিফিকেট (মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) এবং চ. রুটপারমিট (মোটরসাইকেল এবং চালক ব্যতীত সর্বোচ্চ ৭ আসন বিশিষ্ট ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।

০৮. প্রশ্ন : রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র কে কে চেক করতে পারেন/কোন কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে গাড়ির কাগজ দেখাতে বাধ্য ?
উত্তরঃ সার্জেন্ট বা সাব-ইনসপেক্টরের নিচে নয় এমন পুলিশ কর্মকর্তা, মোটরযান পরিদর্শকসহ বিআরটিএর কর্মকর্তা এবং মোবাইলকোর্টের কর্মকর্তা।

০৯. প্রশ্ন : মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিধান ও আরোহী বহন সম্পর্কে আইন কী ?
উত্তরঃ মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত ১ জন আরোহী বহন করা যাবে এবং উভয়কেই হেলমেট পরিধান করতে হবে (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১০০)।

১০. প্রশ্ন : সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কী কী?
উত্তরঃ ক. অত্যধিক আত্মবিশ্বাস, খ. মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, গ. অননুমোদিত ওভারটেকিং এবং ঘ. অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন।

১১. প্রশ্ন : গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে চালকের করনীয় কী ?
উত্তরঃ আহত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটবর্তী থানায় দুর্ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করা।

১২. প্রশ্ন : আইন অনুযায়ী গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা কত ?
উত্তরঃ হালকা মোটরযান ও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ মাইল, মাঝারি বা ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল এবং মাঝারি বা ভারী মালবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ মাইল।

১৩. প্রশ্ন : মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কী ?
উত্তরঃ সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে মোটরযান চালানোর জন্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ দলিলই মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স।

১৪. প্রশ্নঃ অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে-লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক কারো বেতনভোগী কর্মচারী না হয়ে মোটর সাইকেল, হালকা মোটরযান এবং অন্যান্য মোটরযান (পরিবহনযান ব্যতীত) চালাতে পারে, তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।

১৫. প্রশ্ন : ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত ?
উত্তরঃ পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং অপেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ১৮ বছর।

১৬. প্রশ্ন : কোন কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে?
উত্তরঃ মৃগীরোগী, উন্মাদ বা পাগল, রাতকানারোগী, কুষ্ঠরোগী, হৃদরোগী, অতিরিক্ত মদ্যপব্যক্তি, বধিরব্যক্তি এবং বাহু বা পা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয় এমন ব্যক্তি।

১৭. প্রশ্ন : হালকা মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭ কেজির অধিক নয়, তাকে হালকা মোটরযান বলে।

১৮. প্রশ্ন : মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাইওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭ কেজির অধিক কিন্তু ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক নয়, তাকে মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান বলে।

১৯. প্রশ্ন : ভারী মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ১৪,৫০০ পাউন্ড
সংগ্রহীত।

Join👉 Deshi Biker .

Friday, 22 April 2022

তুমি ৩১০ দিন অন্ধকার গর্তে পড়েছিলে!

তুমি ৩১০ দিন অন্ধকার গর্তে পড়েছিলে!

দুর্গন্ধময় মাটি ও এক ফোঁটা বীর্য।
নারী পুরুষের মিলনের ফলে তোমার সৃষ্টি।
৩১০ দিন অন্ধকার গর্তে পড়েছিলে তুমি।
ছিলো না কোনো পানি আলো বা বাতাস,,,,
ছিলো না কোনো খাদ্য বা পানীয়,,, তুমি বেঁচে ছিলে মাসের পর মাস ধরে, বলো কে তোমাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল??!!

মায়ের পেটে ছিলে তুমি। তোমাকে দেখে রাখার মতো কেউ ছিলো না,, চোখ ফোঁটেনি ধপাস ধপাস করে মায়ের পেটে লাথি মারতে, তোমার মা''উহ''করে উঠতো।

তুমি বোবা ছিলে,জবান ফোঁটেনি আমি (আল্লাহ) তোমার দুটো ঠোঁটকে জোড়া লাগিয়ে রেখেছিলাম। নাকের ছিদ্রে দিয়ে রেখেছিলাম কুদরতের পরশ,,, কানের ছিদ্রে দিয়ে রেখেছিলাম কুদরতের পট্টি। 

যদি এগুলো খোলা থাকতো তাহলে মায়ের বিষাক্ত রক্ত ও পানি গিয়ে মূহুর্তেই তোমাকে মেরে ফেলতো।

বলো কে তোমাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল??!!
কে??
কে??
কে,,, করেছিলো এগুলো?!!!
"বান্দা" আমি কাদের তুমি মাকদুর।
" বান্দা" আমি জাবের তুমি মাজবুর।
"বান্দা" আমি রাজ্জাক তুমি মারজুক।
" বান্দা" আমি রব তুমি মারবুব।
"বান্দা" আমি মালেক তুমি মামলুক।

বড়ো হয়েছো!! কি প্রতিদান দিলে?? 
যৌবন লাভ করেছো আমাকে কতবার খুশি করেছো??!!
আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছো!! 
অথচ আমি তোমাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলাম আমার কুদরতের পরশে !!! 

যদি কখনো ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে ফিরে আসো, তবে জেনে রেখো আমার ক্ষমা ও দয়ার দরজা সবসময় তোমার জন্য খোলা থাকবে।

(আল্লাহ তায়ালা আমাকে ও সবাইকে সহিহ বুঝ দান করুক ও হেদায়েত দান করুন আমীন 💖💞)

Saturday, 9 April 2022

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন


আজ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান ২০২২

প্রতিষ্ঠানের নামঃ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ (খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ)

পদের নামঃ সহকারী শিক্ষক

পরীক্ষার তারিখঃ ৮ এপ্রিল ২০২২


১। বাংলাদেশ কত সালে OIC এর সদস্যপদ লাভ করে? উত্তরঃ ১৯৭৪ 

২। ব্যাডমিন্টন কোন দেশের জাতীয় খেলা? উত্তরঃ ইন্দোনেশিয়া [মালেশিয়ার Sepak takraw] 




৩। কোন আমলে সোনারগাঁও বাংলাদেশের রাজধানী ছিল? উত্তরঃ সুলতানি আমলে 

৪। বাংলাদেশের ঘোড়া প্রচলন চালু করেন? উত্তরঃ শেরশাহ 

৫। সংবিধানের ৭ মার্চের ভাষণ কোন  তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে? উত্তরঃ পঞ্চম তফসিলে 

৬। National Day Of Bangladesh is? উত্তরঃ ২৬ মার্চ 

৭। জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফলক কয়টি? উত্তরঃ ৭টি

৮। চাল রপ্তানীতে র্শীর্ষ দেশ?  উত্তরঃ ভারত  [32.6% of total rice exports] 

৯। বাংলাদেশে কোনটি ব্যাংক নোট নয়? উত্তরঃ ২ টাকা 

১০। ECNEC এর চেয়ারম্যান বা সভাপতি? উত্তরঃ প্রধানমন্ত্রী 

১১। বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে নারী- পুরুষের সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে?

 উত্তরঃ ২৮ (২) 

১২। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার? উত্তরঃ ৬.১৫ কি.মি 

১৩। বাংলাদেশ জাতিসংঘের কততম সদস্য? উত্তরঃ ১৩৬ 

১৪। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যাচু অফ লিবার্টি উপহার দেয় কোন দেশ? উত্তরঃ ফ্রান্স 


Sunday, 3 April 2022

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে মাশরুম

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে মাশরুম

আসসালামু আলাইকুম 

জানেন কি?????
ডায়াবেটিস হলে শরীরে যেভাবে  জটিল রোগ ডেকে আনে???

মাশরুম কীভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে???
       

ডায়াবেটিসের ভয়াবহতাঃ  ডায়াবেটিস শরীরের সব অঙ্গপ্রতঙ্গে আক্রমণ করে ডেকে আনে জটিল রোগ। 
ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। 
এতে ব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দৃষ্টিশক্তি কমে যায় ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে।
ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে যৌন দুর্বলতা দেখা দেয়।
কিডনি রোগ হয়।
পায়ে পচনশীল ঘা হতে পারে। এই ঘায়ের কারনে পা কেটে ফেলায় পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় অনেক রোগীকে।
ডায়াবেটিস রোগীরা হৃদরোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে।
-ডা. এ কে আজাদ খান
কার্ডিওলজি অধ্যাপক  এস এম মুস্তফা জামান বলেন, 
আমরা  এক গবেষণায় দেখেছি  ৭০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। 
ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ এ দুটো পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

আরও বলেন,  বর্তমানে ডায়াবেটিসের কারনে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে চলছে।
 ৩৫ বছরের নিচে অনেক তরুণ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
 তাদের অধিকাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। 

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের একটি বড় অংশ হার্টঅ্যাটাক হয়ে যাওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত টেরই পান না যে তার কোন হৃদরোগ আছে। এর কারণ হলো ডায়াবেটিস আমাদের স্নায়বিক অনুভূতিকে ভোঁতা করে দেয়। যার ফলে অন্যদের মতো  হৃৎপিন্ডে  সমস্যা হলে বুকে ব্যথা বা চাপ লাগা, ঘাম অথবা পরিচিত  উপসর্গগুলো তাদের প্রায়ই হয় না। একে বলে নীরব হার্ট অ্যাটাক। 
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে পারলে অনেক জটিল রোগের হাত থেকে মুক্তি মিলবে। 

তাই বলা হয় দুশ্চিন্তা না করে ডায়াবেটিস যাতে না হয় সেভাবে জীবনযাপন  করতে হবে,আর যদি কেউ আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে    নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  মনে
রাখবেন প্রতিকার নয়,
প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম। 

মাশরুমের উপকারীতাঃ
মাশরুমের মধ্যে পলিস্যাকারাইড ও টাইটারপিনয়েড আছে, যা মানুষকে আরোগ্য করার প্রধান উপাদান। এটা রোগপ্রতিরোধে হৃৎযন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রে বেশ ভালোমতো  কাজ করে  এবং সচল কোষকে আরও সচল করে।

মাশরুমে শর্করা কম এবং আঁশ বেশি থাকে। এসব আঁশের মধ্যে রয়েছে সেলুলোজ,  হেমিসেলুলোজ ও লিগনিন। এসব আঁশ শরীরে হজম হয় না বিধায় শক্তি যোগানে ব্যয় হয় না। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে ইনসুলিন সমতা আনয়নে কাজ করে। এভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।

ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ           
       নিয়মিত মাশরুম খেলে 
           হয়ে যাবে মাফ

মোঃ আবুল কালাম 
জেলাঃ  রংপুর 

কাজ করছি মাশরুম নিয়ে 

মাশরুম উদ্যেক্তা 
কাউনিয়া রংপুর। 
০১৯৮৭৩২৭১২৪

Saturday, 2 April 2022

রমজান মাসে ২৪ ঘন্টায় কুরআন শিখি

রমজান মাসে ২৪ ঘন্টায় কুরআন শিখি

আসসালামু আলাইকুম,,, 
সম্মানিত সদস্য গন এই রমজান মাসটি কোরআন শিক্ষার জন্য আপনার সেরা সুযোগ তাই আর দেরি না করে শুরু করুন আজই টেনে মিনিট স্কুলের  ২৪ ঘন্টায় কোরআন শিক্ষা কোর্সটি 

এখান থেকে ডাওনলোড করে নিন



বিতর্কিত_প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা

বিতর্কিত_প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা

#বিসিএস ও অন্যান্য চাকরির #বিতর্কিত_প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা
Live MCQ #তথ্যকল্পদ্রুম_সিরিজ
#পোস্ট - ০১০

🟢 আজকের বিষয়:
বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চায়ের চাষ শুরুর ইতিহাস এবং কনফিউজিং ১৮৫৭/১৮৫৪/১৮৪৭ সালগুলো নিয়ে আলোচনা।

🟢 আলোচনা:
বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে কখন চায়ের চাষ শুরু হয়? - এটি বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকুরীর পরীক্ষায় একটু খুবই কমন প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বাজারের প্রচলিত গাইড বইগুলোতে বিভিন্ন রকম উত্তর দেওয়া রয়েছে। তাই এই বিষয়ে আমাদের ব্যবহারকারীসহ সকলের কনফিউশন দূর করতে তথ্য কল্পদ্রুমের এই আয়োজনটি সাজানো হয়েছে।

❏ বাংলাদেশে চা শিল্প:
চা বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। উনিশ শতকে (১৮০০ সাল/শতাব্দী) ভারতবর্ষের #সিলেট এবং #আসাম অঞ্চলে চা শিল্পের বিকাশ ঘটে। ১৮০০ শতাব্দীর প্রথম ভাগে আসাম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চা চাষ শুরু হয়। প্রধানত ব্রিটিশ (ইংরেজ, স্কটিশ, আইরিশ) চা-করগণ (Tea Planters) সিলেটের টিলাভূমি এবং আসামের উচ্চভূমিতে ব্যাপক এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চা উৎপাদনের সূচনা করে। #১৮৩৯_সালে বেশকিছু ব্রিটিশ পুঁজিপতি এবং ভারতীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ী যেমন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, বাবু মতিলাল শীল, হাজী হাশেম ইস্পাহানি এবং অন্যান্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় #আসাম_টি_কোম্পানি। লন্ডনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কোম্পানির নাম ঘোষণা দেওয়া হয়। এই কোম্পানি গঠনের পরপরই কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত #বেঙ্গল_টি_এসোসিয়েশন এর সঙ্গে একীভূত হয়।

➤ রবার্ট ব্রুস ১৮৩৪ সালে আসামের উঁচু অঞ্চলে চা গাছের সন্ধান পান। এরপর ১৮৫৫ সালে সিলেটের চাঁদখানি টিলায় দেশীয় জাতের চা গাছের সন্ধান মেলে। একই সময়ে খাসি ও জৈন্তা পাহাড়েও ‘বন্য প্রজাতির’ চা গাছের সন্ধান পাওয়া যায়। এগুলোর কোনটিই চাষের চা গাছ ছিলো না।

তার পূর্বে,
➤ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী নদীর তীরে চা আবাদের জন্য ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দে জমি বরাদ্দ হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেখানে চা চাষ বিলম্বিত হয়।
➤ #১৮৪০_খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম শহরের বর্তমান চট্টগ্রাম ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় একটি চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা ‘#কুন্ডদের_বাগান’ নামে পরিচিত। এই বাগানটিও প্রতিষ্ঠার পরপরই বিলুপ্ত হয়ে যায়।
➤ অতঃপর #১৮৫৪_খ্রিস্টাব্দে মতান্তরে #১৮৪৭_খ্রিস্টাব্দে সিলেট শহরের এয়ারপোর্ট রোডের কাছে মালনীছড়া চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়।
মূলতঃ মালনীছড়াই বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান।

➤ দেশ স্বাধীনের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশে শুধুমাত্র দুইটি জেলায় চা আবাদ করা হতো, একটি সিলেট জেলায় যা ‘#সুরমা_ভ্যালী’ নামে পরিচিত ছিল, আর অপরটি চট্টগ্রাম জেলায় যা ‘#হালদা_ভ্যালী’ নামে পরিচিত ছিল।

বর্তমানে বৃহত্তর সিলেটের সুরমা ভ্যালীকে ছয়টি ভ্যালীতে ভাগ করা হয়েছে।
যথা:
☛ লস্করপুর ভ্যালী,
☛ বালিশিরা ভ্যালী,
☛ মনু-দলই ভ্যালী,
☛ লংলা ভ্যালী এবং
☛ নর্থ সিলেট ভ্যালী।

☛ হালদা ভ্যালী বর্তমানে ‘চট্টগ্রাম ভ্যালী’ নামে পরিচিত।৷

বাংলাদেশের চা বাগানগুলির মালিকানা প্রধানত তিন ধরণের -
ক) স্টারলিং কোম্পানি (ইউরোপীয় বিশেষত ব্রিটিশ মালিকানা),
খ) বাংলাদেশি কোম্পানি এবং
গ) ব্যক্তি মালিকানা।

চা শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানসমূহ:
❏ চা বোর্ড:
🢧 ১৯৫১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এটি চট্টগ্রামে অবস্থিত।
🢧 জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জুন ১৯৫৭ সাল থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত তৎকালীন টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
🢧 চা বোর্ডের অধীনে বর্তমানে চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি।

❏ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (BTRI):
🢧 বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনষ্টিটিউটটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম
🢧 ১৯৫৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘টি রিসার্চ স্টেশন’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ টি রিসার্চ স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে উন্নীত করা হয়। এর প্রধান কার্যালয় - মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত।

🟢 উপসংহার:
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় -
✔✔ বাংলাদেশে প্রথম চা চাষ করা হয় - ১৮৪০ সালে চট্টগ্রামে।
✔✔ বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম চা চাষ হয় - ১৮৫৪ সালে মতান্তরে ১৮৪৭ সালে সিলেটের মালনীছড়ায়। (পরীক্ষায় আসলে অপশন বিবেচনা করে উত্তর করতে হবে)
❌ কোনভাবেই উত্তর ১৮৫৭ সাল হবে না।

🔗 রেফারেন্স:
✔ বাংলাদেশ চা বোর্ড ওয়েবসাইট
✔ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট ওয়েবসাইট
✔ বাংলাপিডিয়া
----------------------------------
🟪 তথ্যকল্পদ্রুম সিরিজের সকল পোস্ট একসঙ্গে এখানে পাবেন - https://www.facebook.com/hashtag/তথ্যকল্পদ্রুম/?__gid__=642872336101321
----------------------------------
⚡ "তথ্যকল্পদ্রুম সিরিজ" কী? ⚡
'কল্পদ্রুম’ শব্দের অর্থ কল্পবৃক্ষ, অর্থাৎ যে বৃক্ষের নিকট যা কামনা করা হয় তা-ই পাওয়া যায়।
এর সাথে মিলিয়ে 'শব্দকল্পদ্রুম' নামে রচিত হয়েছিল একটি বিখ্যাত সংস্কৃত অভিধান। সংস্কৃত ভাষায় গদ্যে রচিত সর্ববৃহৎ এ অভিধানটি ছিল বাংলা হরফে মুদ্রিত।
কথিত আছে, এমন কোনো সংস্কৃত শব্দ নেই যা এ কোষগ্রন্থটিতে পাওয়া যায় না। তাই, এর নাম রাখা হয় ‘শব্দকল্পদ্রুম’।
তেমনি, আমরাও "Live MCQ  #তথ্যকল্পদ্রুম" নামে এই সিরিজটি ২৭ এপ্রিল, ২০২১ থেকে চালু করেছি।
 
উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিসিএস এবং চাকরির প্রস্তুতিতে যেসকল প্রশ্ন ও তথ্যে বিভিন্ন সোর্সে গরমিল আছে, আরও আছে নানান বিতর্ক; সেসকল তথ্য ও প্রশ্নের একটা সংগ্রহশালা তৈরি করা।
অর্থাৎ, কল্পদ্রুমের কাছে যেমন যা কামনা করা হয় তা-ই পাওয়া যেত, তেমনি Live MCQ তথ্যকল্পদ্রুম সিরিজেও একটা সময় পরে আপনি যেকোনো বিভ্রান্তিকর ও বিতর্কিত তথ্যের একটা সমাধান পেয়ে যাবেন।
২০১৭ সাল থেকে Live MCQ এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। কালের পরিক্রমায় আমরা এরকম অসংখ্য প্রশ্ন পেয়েছি, বাজারের অনেক গাইড বইতে যেগুলোর ভুল উত্তর দেয়া আছে।
এমনকি, বোর্ড বইতেও বেশ কিছু ভুল তথ্য পাওয়া গেছে। Live MCQ এর পরীক্ষাগুলোতে এই ধরণের ভুল তথ্যগুলো স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সামনে এসেছিল, বিস্তর আলোচনাও হয়েছে।
সমস্যা হচ্ছে, বিক্ষিপ্তভাবে থাকায় আপনাদের পক্ষে সবগুলো তথ্য নজরে রাখা সম্ভব নয়। ধরে নেয়া যায় যে, Live MCQ তথ্যকল্পদ্রুম সিরিজ এই সমস্যার সমাধান করবে।
 
একটা সময় পরে মোটামুটি সব ধরণের কনফিউজিং প্রশ্ন সংক্রান্ত আলোচনা এখানে যুক্ত হয়ে যাবে। এর মাধ্যমে বিসিএস ও অন্যান্য চাকরির প্রস্তুতিতে Live MCQ আপনাদেরকে আরও কিছুটা সহযোগিতা করতে পারবে বলে আশা রাখছি।
 
পাশপাশি, এই সিরিজ নিয়ে আপনাদের যেকোন গঠনমূলক পরামর্শ থাকলে কিংবা কোন তথ্য নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন অনুভব করলে অনুগ্রহ করে Live MCQ ফেসবুক পেজে মেসেজ দিয়ে জানাবেন।
--------------------
সিরিজের সকল পোস্ট Live MCQ অফিশিয়াল ফেসবুক গ্রুপ এবং পেজে নিয়মিত পাবলিশ করা হবে।
🟪 তথ্যকল্পদ্রুম সিরিজের সকল পোস্ট একসঙ্গে এখানে পাবেন - https://www.facebook.com/hashtag/তথ্যকল্পদ্রুম/?__gid__=642872336101321
📢 Live MCQ অফিশিয়াল ফেসবুক গ্রুপ - https://www.facebook.com/groups/livemcqbcsmodeltest/
📢 Live MCQ অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ - https://www.facebook.com/livemcq/
---------------------------------
ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
পুনশ্চ: শব্দকল্পদ্রুম নামে সুকুমার রায়ের আবোল তাবোল গ্রন্থে একটি বিখ্যাত কবিতাও আছে।
----------------------------------
ঘরে বসেই বিসিএস এবং অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে -
🟢 Live MCQ এন্ড্রয়েড অ্যাপ (5 MB) - https://play.google.com/store/apps/details?id=com.livemcq.livemcq
অথবা,
🟢 Live MCQ ওয়েবসাইটঃ https://livemcq.com/app/
  প্রতিযোগিতার পরীক্ষায় প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই প্রস্তুতি নিন।
দলিলে ব্যবহৃত ১৩০ টি শব্দের অর্থ জেনে নিন

দলিলে ব্যবহৃত ১৩০ টি শব্দের অর্থ জেনে নিন

*****খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:- *****
পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১৩০ টি শব্দের অর্থ 
👉দলিলে লিখিত অনেক শব্দ আছে,যার সংক্ষিপ্ত রুপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনও কিছু শব্দ আছে যা খুব কম ব্যবহার হয়। যারা পুরাতন দলিলের ব্যবহৃত শব্দের অর্থ বোঝেন না,তাদের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।


১) মৌজা 👉 গ্রাম।

২) জে.এল নং 👉 মৌজা নং/গ্রাম নম্বর।

৩) ফর্দ 👉 দলিলের পাতা।

৪) খং 👉 খতিয়ান।

৫) সাবেক 👉 আগের/পূর্বের বুজায়

৬) হাল 👉 বর্তমান।

৭) বং 👉 বাহক, অর্থাৎ যিনি নিরক্ষর ব্যক্তির নাম লিখে।

৮) নিং 👉 নিরক্ষর।

৯) গং 👉 আরো অংশীদার আছে।

১০) সাং 👉 সাকিন/গ্রাম।

১১) তঞ্চকতা 👉 প্রতারণা।

১২) সনাক্তকারী 👉 যিনি বিক্রেতাকে চিনে।

১৩) এজমালী 👉 যৌথ।

১৪) মুসাবিদা 👉 দলিল লেখক।

১৫) পর্চা 👉 বুঝারতের সময় প্রাথমিক খতিয়ানের যে নকল দেওয়া হয় তাকে পর্চা বলে।

১৬) বাস্তু 👉 বসত ভিটা।

১৭) বাটোয়ারা 👉 বন্টন।

১৮) বায়া 👉 বিক্রেতা।

১৯) মং 👉 মবলগ/মোট

২০) মবলক 👉 মোট।

২১) এওয়াজ  👉 সমপরিমাণ কোন কিছু বদলে সমপরিমাণ কোন কিছু বদল করাকে এওয়াজ বলে।

২২) হিস্যা 👉 অংশ।

২৩) একুনে 👉 যোগফল।

২৪) জরিপ 👉 পরিমাণ।

২৫) এজমালী 👉 কোনো ভূমি বা জোতের একাধিক শরীক থাকিলে তাহাকে এজমালী সম্পত্তি বা এজমালী জোত বলে।

২৬) চৌহদ্দি 👉 সীমানা।

২৭) সিট 👉 নকশার অংশ বা মৌজার অংশের নকশাকে সিট বলে।

২৮) দাখিলা 👉 খাজনার রশিদ।

২৯) নক্সা 👉 ম্যাপ।

৩০) নল 👉 জমি পরিমাপের নিমিত্তে তৈরী অংশ দণ্ড।

৩১) নাল 👉 চাষাবাদের উপযোগী ভূমি।

৩২) পিং 👉 পিতা।

৩৩) জং  👉 স্বামী।

৩৪) দাগ নং 👉 জমির নম্বর।

৩৫) এতদ্বার্থে 👉 এতকিছুর পর।

৩৬) স্বজ্ঞানে 👉 নিজের বুঝ মতে।

৩৭) সমূদয় 👉 সব কিছু।

৩৮) ইয়াদিকৃত 👉 পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিলাম।

৩৯) পত্র মিদং 👉 পত্রের মাধ্যমে।

৪০) বিং 👉 বিস্তারিত।

৪১) দং 👉 দখলকার।

৪২) পত্তন 👉 সাময়িক বন্দোবস্ত।

৪৩) বদল সূত্র 👉 এক জমি দিয়া অন্য জমি গ্রহণ করা।

৪৪) মৌকুফ 👉 মাপ।

৪৫) দিশারী রেখা 👉 দিকনির্দেশনা।

৪৬) হেবা বিল এওয়াজ 👉 কোন জিনিসের পরিবর্তে ভূমি/জমি দান করাকে হেবা বিল এওয়াজ বলে।

৪৭) বাটা দাগ 👉 কাটা দাগ এটি ভগ্নাংশ আকারে থাকে, যার উপরের সংখ্যা আগের দাগ এবং নিচের সংখ্যা এই দাগের বাটা।

৪৮) অধুনা 👉 বর্তমান।

৪৯) রোক 👉 নগদ।

৫০) ভায়া 👉 বিক্রেতার পূর্বের ক্রয়কৃত দলিল।

৫১) দান সূত্র 👉 কোনো ভূমি দলিল মূলে দান করিলে দান গ্রহণকারী দান সূত্রে ভূমির মালিক বলিয়া গন্য হয়।

৫২) দাখিল খারিজ 👉 কোনো জোতের ভূমি ও জমা হইতে কতেকাংশ ভূমির খরিদ্দার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে পৃথকভাবে নাম জারি করিয়া দিলে তাহাকে দাখিল খারিজ বলে।

৫৩) তফসিল 👉 তালিকা, কোনো দলিলের নিম্নভাগে লিখিত সম্পত্তির তালিকাকে তফসিল বলে।

৫৪) খারিজ 👉 যখন কোনো সরকার বা জমিদার কোনো প্রজাকে তাহার অংশীদারের জমা হইতে পৃথকভাবে খাজনা দিবার অনুমতি দেন তখন তাহাকে খারিজ বলে।

৫৫) খতিয়ান 👉 প্রত্যেক মৌজার এক বা একাধিক ভূমির জন্য একত্রে যে রেকর্ড সৃষ্টি করা হয় তাহাকে খাতিয়ান  বলা হয়। খতিয়ানে তৌজি নম্বর, পরগনার নাম, জে.এল বা গ্রামের নাম, খতিয়ান নম্বর, স্বত্ত্বের বিবরণ মালিকের নাম, তাহার পিতা ও গ্রামের নাম, দাগ নম্বর, প্রত্যেক দাগের উত্তর সীমানা, ভূমির প্রকার অর্থাৎ (ডাঙ্গা, ধানী, ডোবা, পতিত, গর্ত, হালট, ইত্যাদি) দখলকারের নাম, ভূমির ষোল আনা পরিমাণ, হিস্যা ও হিস্যা মত পরিমাণ একর লিখিত থাকে।

৫৬) জরিপ 👉 সাধারণত কর নির্ধারণ ভিত্তিতেই এই সার্ভে করা হইয়া থাকে।

৫৭) এওয়াজ সূত্র 👉সমপরিমাণ কোনো ভূমি বা জিনিসের বদলে সমপরিমাণ কোনো ভূমি বা জিনিস প্রাপ্ত হইলে তাহাকে এওয়াজ সূত্রে প্রাপ্ত বলা হয় ইহাকে বদল সূত্রও বলে।

৫৮) অছিয়তনামা 👉 যদি কোনো ব্যাক্তি মৃত্যুর পূর্বে তাহার ওয়ারিশ বা আত্বীয় স্বজনকে তার স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তির বাটোয়ারা সম্পর্কে দলিল মূলে কোনো নির্দেশ দিয়া যান তবে তাহাকে অছিয়তনামা বলে। মৃত্যুর পর উক্ত অছিয়ত প্রবলের জন্য জেলা জজ সাহেব হইতে অনুমতি লইতে হয় হিন্দু ধর্মে উহাকে উইল বলে।

৫৯) তফসিল 👉 বিক্রিত জমির তালিকা।

৬০) নামজারী 👉 অন্যান্য অংশীদার থেকে নিজের নাম খতিয়ানে খোলাকে নামজারী বলে।

৬১) অধীনস্থ স্বত্ত্ব 👉 উপরিস্থিত স্বত্ব বা জমিদারী স্বত্বের অধীনে কোনো স্বত্ত্ব সৃষ্টি করিলে তাহাকে অধীনস্থ স্বত্ত্ব বা নীচস্থ স্বত্ত্ব বলে।

৬২) আলামত 👉 ম্যাপের মধ্যে গাছপালা, বাড়ীঘর, মন্দির, মসজিদ, গোরস্থান, জলভূমি, ইত্যাদি বুঝাইবার জন্য ব্যবহৃত চিহ্নকে আলামত বলে।

৬৩) আমলনামা 👉 কোনো ব্যক্তি অন্যের নিকট হইতে কোনো ভূমি নিলাম বা খোস – খরিদ করিয়া ভূমিতে দখল লওয়ার যে দলিল প্রাপ্ত হয় তাহাকে আমনামা বলে।

৬৪) আসলি 👉 মূল ভূমি।

৬৫) আধি 👉 উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক ভূমির মালিক, অর্ধেক প্রজায় রাখিলে তাহাকে আধি বা বর্গ বলে।

৬৬) ইজারা 👉 ঠিকা। নির্দিষ্ট খাজনায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তালুক বা মহলাদির বন্দোবস্ত দেওয়া বা নেওয়া।

৬৭) ইয়াদদন্ত 👉 স্মারকলিপি।

৬৮) ইন্তেহার 👉 ঘোষণাপত্র।

৬৯) এস্টেট 👉 ১৭৯৩ সালে সরকার বাহাদুর যে সমস্ত মহাল স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দিয়াছেন তাহাদিগকে জমিদারী বা এস্টেট বলে। 

৭০) ওয়াকফ 👉 ধর্মীয় কাজের উদ্দেশ্যে আল্লাহর নামে উৎসর্গকৃত সম্পত্তি।

৭১) কিত্তা 👉 চারিটি আইন দ্বারা বেষ্টিত ভূমি খন্ডকে এক একটি কিত্তা বা পট বলে।

৭২) কিস্তোয়ার জরিপ 👉 গ্রামের অন্তর্গত জমিগুলো কিত্তা কিত্তা করে জরিপ করার নাম কিস্তোয়ার 

৭৩) কিস্তি 👉 নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী টাকা দিবার অঙ্গীকার বা ব্যবস্থা।

৭৪) কায়েম স্বত্ত্ব 👉 চিরস্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া ভূমিকে কায়েম স্বত্ত্ব বলে।

৭৫) কবুলিয়ত 👉 মালিকের বরাবরে স্বীকারোক্তি করিয়া কোনো দলিল দিলে তাহাকে বকুলিয়ত বলে। কবুলিয়াত নানা প্রকার। যথা- রায়তি, দর রায়তি, কোর্ফা ও আদি বর্গা কবুলিয়াত।

৭৬) কটকোবালা 👉 সুদের পরিবর্তে মহাজনের দখলে জমি দিয়া টাকা কর্জ করত: যে দলিল দেওয়া হয় তাহাকে কটকোবালা বল। 

৭৭) কান্দা 👉 উচ্চ ভূমি। গোবামের সন্নিকটস্থ ভূমিকেও কান্দা বলে।

৭৮) কিসমত 👉 মৌজার অংশকে কিসমত বলে।

৭৯) কোলা ভূমি 👉 বসত বাড়ীর সংলগ্ন নাল জমিকে কোলা ভূমি বলে।

৮০) কোল 👉 নদীর কোনো ছোট অংশ তাহার প্রধান স্রোতের সহিত বা হইতে সংযুক্ত হইয়া গেলে তাহাকে কোল বলে।

৮১) খানাপুরী 👉 প্রাথমিক স্বত্ত্ব লিপি। ইহা রেকর্ড অব রাইটস তৈরির ধাপ। খসড়া ও খতিয়ানের কলাম বা ঘর পূরণ করাই ইহার কাজ।

৮২) খামার 👉 ভূম্যধিকারী খাস দখলীয় ভূমিকে খামার, খাস-খামার, নিজ জোত বা কমত বলে।

৮৩) খাইখন্দক 👉 ডোবগর্ত, খাল, নালা ইত্যাদি চাষের অযোগ্য ভূমিকে খাইখন্দক বলে।

৮৪) খিরাজ 👉 কর, খাজনা।

৮৫) খানে খোদাঃ মসজিদ।

৮৬) খসড়াঃ জমির মোটামুটি বর্ণনা।

৮৭) গর বন্দোবস্তিঃ যে জমির কোনো বন্দোবস্ত দেওয়া হয় নাই।

৮৮) গরলায়েক পতিতঃ খাল, নালা, তীরচর, ঝাড়, জঙ্গল ইত্যাদি অনাবাদি ভূমিকে গরলায়েক পতিত বলে।

৮৯) গির্বিঃ বন্ধক।

৯০) চক 👉 থক বসত ম্যাপের এক একটি পটকে চক বলে।

৯১) জমা বন্দী 👉 খাজনার তালিকা।

৯২) চাকরাণ 👉 জমিদার বাড়ীর কাজ-কর্ম নির্বাহ করণার্থে ভোগ-দখল করিবার নিমিত্তে যে জমি দেওয়া হয় তাহাকে চাকরাণ বলে।

৯৩) চাঁদা 👉 জরিপ কার্যে নির্দিষ্ট করা স্টেশনকে চাঁদা বলে। 

৯৪) চটান 👉 বাড়ীর সন্নিকটস্থ উচ্চ পতিত স্থানকে চটান বলে।

৯৫) চালা 👉 উচ্চ আবাদি ভূমি (পুকুরের পাড় ইত্যাদি)

৯৬) চর 👉 পলিমাটি গঠিত ভূমি।

৯৭) জবর-দখল 👉 জোরপূর্বক দখল।

৯৮) জমা 👉 এক বা একাধিক ভূমির জন্য একত্রে যে খাজনা দেওয়া হয় তাহাকে এক একটি জমা বলে।

৯৯) জোত 👉 এক প্রকার প্রজাস্বত্ত্ব।

১০০) জজিরা 👉 নাব্য নদীতে যে দ্বীপ গঠিত হয় তাহাকে জজিরা বলে।

১০১) জায়সুদী 👉  হস্তান্তরকরণ ক্ষমতা ব্যতীত কিয়ং কালের জন্য বন্ধক। অর্থাৎ মহাজনের নিকট বন্ধক দিয়া যদি এই মর্মে টাকা কর্জ করা যায়, যে যতদিন পর্যন্ত আসল টাকা পরিশোধ না হইবে ততদিন পর্যন্ত মহাজন উক্ত জমি ভোগ-দখল করিতে থাকিবেন, তবে তাহাকে জায়সুরি বলে।

১০২) জালি 👉 এক প্রকার ধান যাহা জলাভূমিতে জন্মে।

১০৩) টেক 👉 নদী ভগ্নস্থান ভরাট হইয়া যে পয়স্তি উৎপন্ন হয় তাহাকে টেক বলে।

১০৪) টাভার্স 👉 ঘের জরিপ।

১০৫) ঠিকা রায়ত 👉 নির্দিষ্ট মেয়াদে সাময়িকভাবে দখলকারকে ঠিক রায়ত বলে অথবা যে রায়তের কোনো দখলি স্বত্ত্ব নেই।

১০৬) ঢোল সহরত 👉 কোনো ক্রোক, নিলাম ইস্তেহার বা দখলি পরওয়ানা সরজমিনে ঢোল পিটাইয়া জারি করাকে ঢোল সহরত বলে।

১০৭) তামিল 👉 আদেশ মোতাবেক রেকর্ড সংশোধন করা।

১০৮) তামাদি 👉 খাজনা আদায় করার নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম হইলে তাহাকে তামাদি বলে।

১০৯) তুদাবন্দী 👉 সীমানা নির্দেশ।

১১০) তহশিল 👉 খাজনাদি আয়ের নিমিত্ত নির্দিষ্ট এলাকাকে তহশিল বলে।

১১১) তলবানা 👉 সমন জারির সময় পিয়নকে প্রদত্ত ফিস।

১১২) তলববাকী 👉 বকেয়া খাজনা আদায়ের কিস্তি।

১১৩) তালুক 👉  নিম্নস্থ স্বত্ত্ব।

১১৪) তরমিমঃ শুদ্ধকরণ।

১১৫) তরতিব 👉 শৃংখলা।

১১৬) তৌজি 👉 ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তীয় ভূমির জন্য কালেক্টরীতে যে রেজিষ্ট্রী বই থাকে তাহাকে তৌজি বলে। প্রত্যেক তৌজির ক্রমিক নম্বর থাকে। জমিদারের অধীন প্রজার জোতকেও তৌজি বলা হয়।

🔸১১৭) দিয়ারা 👉 পলিমাটি দ্বারা গঠিত চর।

১১৮) দর পত্তনী 👉 পত্তনীর অধীন।

১১৯) দখলী স্বত্ত্ব বিশিষ্ট প্রজা 👉 দখলদার হিসেবে যে প্রজার স্বত্ত্ব আছে।

১২০) দশসালা বন্দোবস্ত 👉 দশ বৎসরের মেয়াদে বন্দোবস্ত দেওয়াকে দশসালা বন্দোবস্ত বলে।

১২১) দিয়ারা 👉 পলিমাটি দ্বারা গঠিত চর।

১২২) দাগ নম্বর 👉মৌজা নকশায় প্রত্যেক প্লটের যে সিরিয়াল নম্বর বসান হয়,তাহাকে দাগ নম্বর বলে।

১২৩) দরবস্ত 👉 সমুদয়।

১২৪) নথি 👉 রেকর্ড।

১২৫) দেবোত্তর 👉 দেবতাদিগকে প্রদত্ত নিষ্কর ভূমি।

১২৬) দেবিচর 👉 যে সকল বালুচর সাধারণ জোয়ারের পানিতে ডুবিয়া যায় তাহাদিগকে দেবিচর বলে।

১২৭) দিঘলি 👉 নির্দিষ্ট পরিমাণ খাজনা আদায়কারী একপ্রকার প্রজা।

১২৮) নক্সা ভাওড়ন 👉 পূর্ব জরিপ অনুসারে গ্রামের সীমাগুলো এখন আর ঠিক মতো পাওয়া যায় না। ফলে সীমানা লইয়া প্রায়ই জমিদারের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। পূর্বের ফিল্ডবুক অনুসারে প্রত্যেক লাইনের মাপ ও বিয়ারিং লইয়া, লাইনটি প্রথমে যেখানে যেভাবে ছিল, তা চিহ্নিত করিয়া, কোন জমি কোন মৌজার অন্তর্গত,তাহা ঠিক করার  নামই,নক্সা ভাওড়ান বা রিলেইং বাউন্ডারীজ।

১২৯) নামজারী 👉 ভূম্যধিকারী সরকারের সাবেক নামের পরিবর্তে খরিদ্দার অথবা ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রেজিস্ট্রী করাকে নামজারী বলে।

🔸১৩০) নাম খারিজ বা জমা খারিজ 👉 ১৬ আনা জোতার মোট জমা হইতে নামজারীকৃত ওয়ারিশ বা খরিদ্দারের দখলীয় জমির জমা ১৬ আনা জোতার জমার হার অনুসারে জাম ভাগ করিয়া দিয়া পৃথক জমা সৃষ্টি করাকে নাম খারিজ বা জাম খারিজ বলে।
🙏ভুল হলে ক্ষমা করবেন🙏  (কপি পোস্ট)

❤️সবাই শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।🔥